ভারতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার হরভজন সিং মাঠের ভেতরে থাকুন বা বাইরে, সর্বদাই তিনি নিজের সাহসের জন্য পরিচিত। সম্প্রতিই হরভজন সিং পাঞ্জাবের অনুর্ধ্ব ১৯ দলের প্রাক্তন প্লেয়ার হরমন হ্যারির চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ক্রিকেটার হরভজন সিংয়ের এই পদক্ষেপে চারদিক থেকে প্রশংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন এই ক্রিকেটার
হরভজন সিং যে ক্রিকেটারের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তার নাম হল হরমন হ্যারি। তিনি পাঞ্জাবের হয়ে অনুর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে খেলেছেন। হরমন হ্যারি লিভারে ফিস্টুলা তৈরি হওয়ার কারণে জীবন মৃত্যুর মাঝখানে লড়াই করছেন। যদিও এ কথা যখনই হরভজন সিং জানতে পারেন তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
এক সঙ্গে খেলতেন হরভজন এবং হ্যারি
আসলে হরভজন এবং হ্যারি এক সঙ্গে পাঞ্জাবের অনুর্ধ্ব ১৬ দলের হয়ে খেলতেন। ৯০ এর দশকে এই দুই ক্রিকেটার পাঞ্জাবের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেন। যদিও ১৯৯৮ সালে হরভজন সিং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজের আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন। এরপরেই এই দুজনের রাস্তা আলাদা হয়ে যায়।
হরভজনের কাছে চেয়েছিলেন সাহায্য
হঠাৎ করেই একদিন হরভজন সিংয়ের কাছে দীর্ঘদিন আলাদা হওয়া বন্ধুর ফোন আসে। হ্যারি নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য পয়সার প্রয়োজন ছিল। তিনি কারও মাধ্যমে হরভজন সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং নিজের রোগের কথা বলেন। ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হরভজন জানান, “ ওর টাকার ভীষণ দরকার ছিল, আর আমি ওকে সার্জারি করার জন্য বলি। সেই সঙ্গে চিকিৎসায় হওয়া খরচ বহন করার কথা দিই। মানুষের জীবনের তুলনায় আর কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়”।
হরভজন ওঠালেন পুরো খরচ
হরমন হ্যারির চিকিৎসা এই মুহুর্তে দিল্লির নাগলোইয়ের রাঠী হাসপাতালে চলছে। হরভজন জানিয়েছেন যে তিনি তাকে ভাল হাসপাতালে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাতে বলেন। এই মুহুর্তে জলন্ধরে রয়েছে হরভজন সিং। যেখানে তিনি তার স্বর্গীয় বাবা সর্দার সরদেব সিংয়ের স্মৃতিতে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করছেন। হরভজন রাঠী হাসপাতালে পুরো আড়াই লাখ টাকার ভুগতান করেছেন।
চিরকাল ঋণী থাকব
হরভজনের সাহায্যের হাত বাড়ানো নিয়ে হ্যারি জানিয়েছেন, “ আমি আমার জীবনের জন্য ওরকাছে ঋণী থাকব। ও প্রমান করে দিয়েছে যে সত্যিকারের বন্ধুত্বের মানে কি। গত এক বছর ধরে আমাদের সমস্ত পয়সা চিকিৎসায় খরচ হয়ে গেছে। হরভজন আমাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে”। জানিয়ে রাখা ভাল যে হরমন হ্যারির অবস্থার যথেষ্টই উন্নতি হয়েছে। হাসপাতালের পাশেই তিনি একটি বাড়ি ভাড়ায় নিয়েছেন। যাতে তিনি সহজেই হাসপাতালে চেকআপের জন্য যেতে পারেন।