২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মরসুমেই তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিলো হরভজনের (Harbhajan Singh) চড় কাণ্ড’কে ঘিরে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে খেলছিলেন ভাজ্জি। পাঞ্জাব কিংস (তৎকালীন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব)-এর বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন প্রতিপক্ষ শিবিরের শান্তাকুমারন শ্রীশন্থের (S Sreesanth) সাথে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন তিনি। এরপর হঠাৎই কেরলের পেসারকে চড় কষিয়ে দেন তারকা অফস্পিনার। অপমানে সেই সময় কেঁদে ফেলেছিলেন শ্রীশন্থ। সমালোচনার ঝড় উঠেছিলো ক্রিকেটমহলে। কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় বিসিসিআই। তারা ঐ মরসুমের বাকি অংশ থেকে নির্বাসিত করে হরভজন’কে (Harbhajan Singh)। অনভিপ্রেত ঐ ঘটনার জন্য আগেও ক্ষমা চেয়েছেন টার্বুনেটর। ২০২৩ সালে একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীশন্থ নিজেও জানিয়েছিলেন যে বন্ধুত্বে যে ফাটল সেই সময় তৈরি হয়েছিলো তা জোড়া লেগেছে সময়ের সাথে সাথে। ঘটনার ১৭ বছর পর ফের সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায় জায়গা করে নিলো বিষয়টি।
Read More: IPL 2025: স্টার্কের পঞ্চবাণে দিশাহারা সানরাইজার্স, দিল্লীর বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে হার কামিন্সবাহিনীর !!
নিজের ভুল স্বীকার করলেন ভাজ্জি-

ভারতে যেমন রয়েছে রঞ্জি ট্রফি, তেমনই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেরা প্রতিযোগিতা শেফিল্ড শিল্ড। গত ২৬ তারিখ থেকে ছিলো সেই টুর্নামেন্টের আইনাল। অ্যাডিলেডের ক্যারেন রোল্টন ওভালে মুখোমুখি হয়েছিলো ক্যুইন্সল্যান্ড ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া। উসমান খোয়াজা, মার্নাস লাবুশেন (Marnus Labuschagne) সমৃদ্ধ ক্যুইন্সল্যান্ডকেই ‘ফেভারিট’ মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু উলটপুরান দেখা যায় প্রথম ইনিংসেই। ৯৫ রানে গুটিয়ে যায় ক্যুইন্সল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জেক লেহম্যানের শতরানের সৌজন্যে ২৭১ তোলে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া। ১৭৬ রানের লিড পায় তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় ক্যুইন্সল্যান্ড। লাবুশেনের ৬১, জ্যাক ক্লেটন ও উইল্ডারমাউথের জোড়া শতকের সৌজন্যে ৪৪৫ রান তোলে তারা। চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিলো ২৭০। জেসন সাঙ্ঘা ও অ্যালেক্স ক্যারির সেঞ্চুরি জয় এনে দেয় তাদের।
২৯ বছর পর শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে এই সাফল্য স্বাভাবিক কারণেই আবেগে ভাসিয়েছিলো ক্রিকেটারদের। তাঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন ড্রেসিংরুমে। আলিঙ্গনবদ্ধ হন সাঙ্ঘা ও ক্যারি’ও। উদ্যাপনের সেই মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তা মন ছুঁয়ে যায় হরভজন সিং-এর (Harbhajan Singh)। টিম ইন্ডিয়ার কিংবদন্তি প্রাক্তনী রিট্যুইট করেন ভিডিও’টি। সম্ভবত মস্করা করার লক্ষ্যেই ভাজ্জির পোস্টের কমেন্ট সেকশনে শ্রীশন্থকে চড় মারার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন এক নেটিজেন। ক্যাপশনে লেখেন, “এটা তাহলে কি ভাজ্জি স্যার?” মেজাজ হারান নি টার্বুনেটর। সেদিন যে দোষ করেছিলেন, তা স্বীকার করে নেন। লেখেন, “ওটা মোটেও ঠিক ছিলো না ভাই। আমারই দোষ ছিলো। করা উচিৎ হয় নি। কিন্তু মানুষ তো, তাই ভুল হয়। ভগবান তো নই।”
দেখুন হরভজনের স্বীকারোক্তি-
This wasn’t right bhai
It was my mistake . Shouldn’t hv done this . But Galti hui Insaan hu 🙏 🙏Bhagwaan nahi https://t.co/dXo5fMM86k— Harbhajan Turbanator (@harbhajan_singh) March 30, 2025
হিন্দি ধারাভাষ্য বিতর্কে মুখ খুলেছেন হরভজন-

চলছে আইপিএলের অষ্টাদশতম মরসুম। ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, বাংলা, ভোজপুরি, হরিয়ানভি’র মত ভাষাতেও ধারাভাষ্যের ব্যবস্থা রেখেছে সম্প্রচারকারী সংস্থা। হিন্দি ধারাভাষ্যকারদের নিয়ে দেখা গিয়েছে তীব্র বিতর্ক। আম্বাতি রায়ুডু, সুরেশ রায়না, নভজ্যোত সিং সিধু, আকাশ চোপড়া’রা ক্রিকেট বিশ্লেষক নন বরং পছন্দের ক্রিকেটারদের গুণকীর্তন করতে বসেছেন মাইক হাতে, উঠছে অভিযোগ। তাঁদের শব্দচয়ন, কথা বলার ভঙ্গিমা-কোনো কিছুই ক্রীড়া ধারাভাষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, মনে করছেন টেলিভিশন দর্শকেরা। সম্প্রতি ‘দ্রোগবাবা’ নামে এক স্পোর্টস ইনফ্লুয়েন্সারও এই বিষয়টি নিয়ে একটি ভিডিও বানিয়েছিলেন। পরিবারের সাথে বসে হিন্দি ধারাভাষ্য শোনা যায় না, হতাশ গলায় বলতে শোনা গিয়েছিলো তাঁকে। হিন্দি প্যানেলে রয়েছেন হরভজন’ও (Harbhajan Singh)। সেই ভিডিও’টি নজরে আসায় তিনি জবাব দিয়েছেন, “মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।”