মার্চের ৩১ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (IPL) ষোড়শ মরসুম। ২০০৮ সালে পথচলা শুরু করার পর দেড় দশক কেটে গেলেও আইপিএলের আবেদন কমে নি একটুও। বরং উল্টোটাই সত্যি। যত সময় এগিয়েছে আকারে-বহরে যেমন বেড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ প্রতিযোগিতা, ঠিক ততটাই বেড়েছে এর জনপ্রিয়তা। গ্ল্যামারের মোড়কে মুড়ে ক্রিকেটকে জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে এই টুর্নামেন্ট। গোটা বিশ্বে টি-২০ ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আইপিএলের ভূমিকা একবাক্যে স্বীকার করে নেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। এই প্রতিযোগিতার পথ ধরেই জন্ম নিয়েছে বিগ ব্যাশ, টি-২০ ব্লাস্ট, পিএসএল বা বিপিএলের মত আরও অনেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ টুর্নামেন্ট। আইপিএল ভারতসহ একাধিক ক্রিকেটখেলিয়ে দেশকে উপহার দিয়েছে একের পর এক তারকা খেলোয়াড়। দেড় দশক কেটে গেলেও আইপিএল’কে আরও বেশী করে দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার নীতি থেকে সরে আসে নি ভারতীয় বোর্ড। সেই কারণেই কিছু নয়া পদক্ষেপ দেখা গেছে রজার বিনি, জয় শাহদের পক্ষ থেকে। গতকাল অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারী বোর্ডের তরফে আসন্ন মরসুমের ক্রীড়াসূচী প্রকাশ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রথমবার স্টেডিয়ামে বসে আইপিএল দেখার আনন্দ উপভোগ করতে চলেছেন। গুয়াহাটিকেও প্রস্তাবিত ১২টি ভেন্যুর মধ্যে স্থান দিয়েছে BCCI.
IPL-এর স্বাদ পেতে চলেছে গুয়াহাটি-

আগামী ৩১শে মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ষোড়শ মরসুম। ভারতীয় বোর্ডের প্রকাশ করা সূচী অনুযায়ী প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে চলেছে গত বছরের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স এবং চার বারের খেতাবজয়ী চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। ১ লাখ ৩২ হাজার আসনবিশিষ্ট আহমেদবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হবে উদ্বোধনী ম্যাচটি। কোভিডের কারণে বায়ো বাবলসহ নানা বিধিনিষেধের জন্য হোম-অ্যাওয়ে ফর্ম্যাট থেকে সরে গিয়েছিলো এই টি-২০ প্রতিযোগিতা। এবার স্বমহিমায় ফিরতে চলেছে হোম-অ্যাওয়ে ফর্ম্যাট। ঘরের মাঠে, সমর্থকদের সামনে খেলতে মুখিয়ে রয়েছে দশ দলই। গতবারের ফাইনালিস্ট রাজস্থান রয়্যালসের সামনে সুযোগ দেশের দুই আলাদা প্রান্তে নিজেদের ফ্যানবেস তৈরি করার। জয়পুরে নিজদের চিরাচরিত হোম গ্রাউন্ডে খেলবেন জস বাটলার (Jos Buttler), রবিচন্দ্রণ অশ্বিন’রা (Ravichandran Ashwin)। একই সাথে দেশের পশ্চিম প্রান্ত থেকে একদম উলটো দিকে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব দিকেও দুটি ‘হোম’ ম্যাচ খেলবেন তাঁরা। আসন্ন মরসুমের জন্য গুয়াহাটিকেও রাজস্থান রয়্যালসের ‘ঘরের মাঠ’ বলে ঘোষণা করেছে ভারতীয় বোর্ড। সেখানেও দু’টি ম্যাচে যথাক্রমে ৫ ও ৮ এপ্রিল পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লী ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে রাজস্থান। আসামের রিয়ান পরাগ (Riyan Parag) দীর্ঘদিন খেলেন রাজস্থান রয়্যালস (RR) দলে। ঘরের ছেলেকে সমর্থন যোগাতে গোলাপী-নীল জার্সিতে গুয়াহাটির ক্রিকেটভক্তেরা দলে দলে মাঠ ভরাবেন বলেই আশা ক্রিকেটমহলের। প্রসঙ্গত এর আগেও ২০২০ সালে রাজস্থানের ‘হোম গ্রাউন্ড’ হওয়ার কথা ছিলো গুয়াহাটির। কিন্তু কোভিড অতিমারির কারণে তা আর বাস্তবায়িত হয় নি। “আমরা অত্যন্ত খুশি” জানিয়েছেন আসাম ক্রিকেট সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার প্রীতম মহন্ত।
IPL 2023-এর জন্য রাজস্থান রয়্যালস সম্পূর্ণ স্কোয়াড-
রিটেন হয়েছেন যাঁরা-
সঞ্জু স্যামসন (অধিনায়ক), জস বাটলার, যশস্বী জয়সোয়াল, শিমরণ হেটমায়ার, দেবদত্ত পাডিক্কাল, দ্রুব জুড়েল, রিয়ান পরাগ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, ট্রেন্ট বোল্ট, ওবেদ ম্যাকয়, নবদীপ সাইনি, কুলদীপ সেন, রবিচন্দ্রণ অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, কে সি কারিয়াপ্পা।
‘মিনি’ অকশনে এলেন যাঁরা-
জো রুট (১ কোটি), আব্দুল বসিত (২০ লাখ), আকাশ বশিষ্ঠ (২০ লাখ), মুরুগণ অশ্বিন (২০ লাখ), কে এম আসিফ (৩০ লাখ), অ্যাডাম জাম্পা (৩০ লাখ), কুনাল রাঠোড় (২০ লাখ), ডনোভন ফেরিইরা (২০ লাখ), জেসন হোল্ডার (৫.৭৫ কোটি)