একদিনের বিশ্বকাপে আজ টুর্নামেন্টে ২৮তম ম্যাচ ভারত আর আফগানিস্তানের মধ্যে সাউথহ্যাম্পটনের মাঠে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি টসে জেতেন আর প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটসম্যানদের আফগানিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ করতে দেখা যায় আর নিজেদের ৫০ ওভারের খেলায় ২২৪/৮ এর সাধারণ স্কোরই করতে পারে।
আফগানিস্তানের সামনে এই ম্যাচ জেতার জন্য মাত্র ২২৫ রানের লক্ষ্য ছিল। আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ছোটো ছোটো পার্টনারশিপ করে ম্যাচে নিজেদের কব্জা মজবুতও করছিল কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা সময় সময় উইকেট নিয়ে ম্যাচের রোমাঞ্চ ধরে রাখে। আফগানিস্তানের শেষ ৬টি বলে ১৬ রানের প্রয়োজন ছিল কিন্তু মহম্মদ শামির সামনে আফগানিস্তানের জারিজুরি চলেনি আর টিম ইন্ডিয়া এই ম্যাচ ১১ রানে জিতে নেয়। এই স্মরণীয় জয়ে মহম্মদ শামি হ্যাটট্রিক করেন।
হারের পর কি বললেন আফগানি অধিনায়ক
আফগানিস্তান স্থানের দল এক সময় এই ম্যাচ সহজেই জিততে পারত, কিন্তু জসপ্রীত বুমরাহ আর মহম্মদ শামির বলের এই দলের কাছে কোনো জবাব ছিল না। ম্যাচে পাওয়া হারের পর অধিনায়ক গুলাবউদ্দিন নইন নিজের বয়ানে বলেন,
“প্রথম ইনিংসে আমরা যথেষ্ট ভাল প্রদর্শন করেছি। আমরা এই কথা জানতাম যে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং ক্রম যথেষ্ট মজবুত, কিন্তু দলের বোলারদের এর শ্রেয় যায় যারা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। রশিদ, মুজিব আর রহমত সত্যিই ভাল প্রদর্শন করেছে”।
টিম ইন্ডিয়ার জয়ে সবচেয়ে বড়ো টার্নি পয়েন্ট জসপ্রীত বুমরাহ পালন করেন। বুমরাহ ২৯তম ওভারে একের পর এক উইকেট নিয়ে আফগান দলের কোমর ভেঙে দেন। ম্যাচের পর গুলাবউদ্দিন নইব বলেন, “শেষ দু থেকে তিন ওভারে জসপ্রীত বুমরাহ দমদার বোলিং করেন। আমি এটাই বলব যে এই ম্যাচ সত্যিই দুর্দান্ত থেকেছে”।
ব্যাটসম্যানদের নিতে হত দায়িত্ব
গুলাবউদ্দিন নইব আগে নিজের বয়ানে বলেন,
“লক্ষ্য বেশী বড় ছিল না, কিন্তু আমাদের দলের দরকার ছিল যে কোনো একজন ব্যাটসম্যান কম সে কম ৮০ রান করুক। ৩০ রান লক্ষ্য তাড়া করার জন্য যথেষ্ট হয় না। টুর্নামেন্টের শুরুর চরণে আমরা যথেষ্ট খারাপভাবে ম্যাচ হেরেছি। কিন্তু দ্বিতীয় হাফে আমরা ভাল ক্রিকেট খেলেছি। আমি দলের প্রদর্শনে সত্যিই ভীষণ খুশি”।
আফগানিস্তানের দলের এই টুর্নামেন্টে এটি লাগাতার ষষ্ঠ হার ছিল আর এই হারের সঙ্গেই আফগান দল সেমিফাইনেলের রেস থেকে ছিটকে যাওয়া প্রথম দল হয়েছে।