গত বছর বড়সড় রদবদল হয়েছিলো ভারতীয় দলের কোচিং স্টাফে। হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। প্রথা ভেঙে তাঁকে নিজের সহকারী বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো। অভিষেক নায়ার ও রায়ান টেন দুশখাতেকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। বোলিং পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়ে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তনী মর্ণি মর্কেলকে। পরে ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে সীতাংশু কোটাককে নিয়োগ করে বিসিসিআই। দায়িত্ব পাওয়ার মাস আটেকের মাথায় বরখাস্ত হয়েছেন অভিষেক নায়ার। সেই শূন্যস্থান এখনও পূরণ করে নি বোর্ড। এর মধ্যেই ফিল্ডিং কোচ টি.দিলীপ ও স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাইয়ের সাথে চুক্তি শেষ হয়েছে ভারতীয় দলের। আপাতত ফিল্ডিং-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুশখাতেকে। আর স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং-এর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পেয়েছেন আদ্রিয়ান লে রু (Adrian Le Roux)।
Read More: সহ-অধিনায়ক হওয়া সত্ত্বেও বাদ পড়বেন ঋষভ পন্থ, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুযোগ দেবেন না গম্ভীর !!
ভারতীয় দলে ফিরলেন লে রু-

২০০২-০৩ সালে ভারতীয় দলের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং-এর দায়িত্বে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্রিয়ান লে রু (Adrian Le Roux)। দুই দশকেরও বেশী সময় পর ফের ‘মেন ইন ব্লু’র ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করলেন তিনি। প্রোটিয়া স্পোর্টস সায়েন্টিস্টের সিভি বেশ চমকপ্রদ। আইপিএলের (IPL) গোড়া থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১২ বছরের সম্পর্কে দাঁড়ি টানেন ২০১৯ সালে। এরপর পাঞ্জাব কিংস (PBKS) দলের ডাগ-আউটেও বেশ কয়েকটি মরসুম কাটিয়েছেন তিনি। সদ্যসমাপ্ত আইপিএলেও তিনি প্রীতি জিন্টার ফ্র্যাঞ্চাইজির স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং-এর দায়িত্বেই ছিলেন। আইপিএল শেষ হওয়ার পর দিনকয়েক বিশ্রাম নিয়ে গতকাল যোগ দিয়েছেন ভারতীয় শিবিরে (Team India)। তাঁকে টিম ইন্ডিয়ার অন্দরমহলে স্বাগত জানিয়েছেন হেড কোচ গৌতম গম্ভীর।
গম্ভীরের (Gautam Gambhir) সাথে লে রু’র (Adrian Le Roux) রসায়ন বেশ ভালো। ২০১১ থেকে ২০১৭ অবধি যে আট মরসুম কলকাতা নাইট রাইডার্সে ছিলেন গম্ভীর, তখন তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন লে রু’কে। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ’কে স্বাগত জানানোর সময়েও স্মৃতিচারণ করতে শোনা গিয়েছে গম্ভীরকে। তিনি বলেন, “আমি ওনার সাথে কলকাতা নাইট রাইডার্সে সাড়ে সাত বছর কাজ করছি। উনি দুর্দান্ত পেশাদার।” ২০ তারিখে লিডসের হেডিংলেতে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম ইংল্যান্ড সিরিজ। এরপর এজবাস্টন, লর্ডস, ম্যাঞ্চেস্টার ও ওভালে রয়েছে বাকি চারটি ম্যাচ। প্রায় দুই মাসব্যপী দীর্ঘ সিরিজে ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত মুক্ত ও তরতাজা রাখতে লা রু’কে (Adrian Le Roux) যে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে তা বলাই বাহুল্য। তবে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তিনি।
গম্ভীরের হাতেই সাফল্যের চাবিকাঠি ?

নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরপর দু’টি টেস্ট সিরিজ হারের পর আতসকাঁচের নীচে হেড কোচ গম্ভীর (Gautam Gambhir)। একটা সময় গুঞ্জন শোনা গিয়েছিলো যে তাঁকে সরিয়ে টেস্ট দলের দায়িত্ব দেওয়া হবে ভিভিএস লক্ষ্মণ’কে। কিন্তু মার্চের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় কার্যত একটি লাইফলাইন দিয়েছে গম্ভীরকে (Gautam Gambhir)। ইংল্যান্ড সিরিজে তাঁর অধীনে দল কেমন পারফর্ম করে তার উপর নির্ভর করতে পারে কোচ হিসেবে তাঁর ভবিষ্যত। স্টোকসদের বিপক্ষে নামার আগে গম্ভীর অবশ্য বাড়তি কিছু করতে রাজী নন। তবে চাপ যে রয়েছে তা স্বীকার করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, “সাফল্য আসুক বা ব্যর্থতা- আমি সবসময়েই চাপে থাকি। আপনি যদি আমায় নিউজিল্যান্ড সিরিজের পরে এই প্রশ্নটা করতেন তাহলে আমি বলতাম, ‘হ্যাঁ চাপে আছি।‘ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরে করলেও বলতাম, ‘হ্যাঁ আমি চাপে আছি।’”