বর্তমান সময়ে সমস্ত ফ্রেঞ্চাইজিগুলির মধ্যে স্রেফ কলকাতা নাইট রাইডার্সই একমাত্র দল যারা দুর্দান্তভাবে আইপিএলে নিজেদের অভিযান শুরু করেছিল। আইপিএলে কেকেআরের বিস্ফোরক ডেবিউর সবচেয়ে বড়ো কারণ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ছিলেন। যিনি ২০০৮ এ উদ্বোধনী ম্যাচেই অপরাজিত ১৫৮ রান করেছিলেন। সেই সময় দলের দায়িত্ব ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়কদের মধ্যে একজন সৌরভ গাঙ্গুলীর হাতে ছিল।
শুরুর দিকে সফল হয়নি কেকেআর
কেকেআর যতটা বিস্ফোরক শুরু করেছিল শুরুর মরশুমে ততটা সফল হতে পারেনি। দল শুরুর তিনটি মরশুমে নকআউটের জন্য একবারও কোয়ালিফাই করতে পারেনি। এরপর ২০১১ মরশুমের আগে দলকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলা হয়। দলে নতুন খেলোয়াড়রা আসেন, নতুন সাপোর্ট স্টাফ, নতুন উৎসাহ আর সবচেয়ে বড়ো বিষয় হলো দল নতুন অধিনায়কও পায়। দলের নেতৃত্ব সৌরভ গাঙ্গুলী হাত থেকে নিয়ে গৌতম গম্ভীরকে দিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় গম্ভীর সকলেরই প্রথম পছন্দ ছিলেন। কারণ তিনি এই মরশুমের ঠিক আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৯৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ভারকে ২৮ বছর পর খেতাব জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এক বছর পর সামনে আসে পরিণাম

কেকেআরের দলে এই বড়ো পরিবর্তনের প্রভাবও দেখতে পাওয়া যেতে থাকে। দলে ইউসুফ পাঠান, জ্যাক কালিস, সুনীল নারিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন। কেকেআর এগিয়ে যেতে শুরু করে। ওই বছর দল প্রথমবার প্লে অফে জায়গা করে নেয়। এরপর দুর্দান্ত পরিণাম ২০১২য় আসে। দল চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে প্রথমবার খেতাব জেতে। ২০১৪তেও দল চ্যাম্পিয়ন হয়। কেকেআরের দায়িত্ব পাওয়ার নয় বছর পর গম্ভীর খোলসা করেছেন যে ২০১১র মরশুমের শুরু হওয়ার আগে গাঙ্গুলীকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর পর শাহরুখ খান তাকে কী বলেছিলেন।
এই কথা বলেছিলেন শাহরুখ
স্টারস্পোর্টসের শো ক্রিকেট কানেক্টেডের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গম্ভীর জানিয়েছেন যে শাহরিখ তাকে বলেছিলে, “এটা তোমার দল, এটা গড়ো বা ভাঙো। আমি মাঝখানে আসব না। আমি তখন বলেছিলাম যে আমি স্রেফ একটা জিনিস কথা দিতে পারি। আমি জানি না যে এটা কবে হবে, কিন্তু আমি যখন চলে যাব, তা সে তিন বছর হোক বা ছয় বছর, এই ফ্রেঞ্চাইজি যথেষ্ট ভালো পরিস্থিতিতে থাকবে”। গৌতম গম্ভীর কেকেআরকে দুটি খেতাব এনে দেন আর এই দলটি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর চেন্নাই সুপার কিংসের পর বর্তমান সময়ে আইপিএলের দুর্দান্ত দলগুলির একটি।