বর্ডার-গাওস্কর সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের শোচনীয় পরিণতির পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পরিবার সংক্রান্ত নীতি চালু করে। তবে, এই নীতি দলের অনেক সদস্য মেনে নিতে পারেননি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দল ঘোষণার সময় রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) মুখ্য নির্বাচক অজিত আগারকারের সঙ্গে (Ajit Agarkar) সাথে এই পারিবারিক যানজট নিয়ে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছিল। শুধু রোহিত শর্মা নন বিসিসিআইয়ের এই নতুন নিয়ম নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছিলেন বিরাট কোহলিও (Virat Kohli)। বিরাটও এই নীতিকে সমর্থন করেননি। তবে, রোহিত-বিরাটদের রাস্তায় হাঁটলেন না প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। পরিবারের আগে দেশকে এগিয়ে রাখলেন গম্ভীর।
বোর্ডের পরিবার নিয়মে খুশি ছিলেন না বিরাট কোহলি

প্রধান কোচ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে খেলোয়াড়দের কাজ দেশকে গর্বিত করা, পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটানো নয়। অস্ট্রেলিয়ায় করুণ পরিণতির পর বিসিসিআই নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন করেছিল। আসলে, সফর চলাকালীন ক্রিকেটারদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোয় নতুন নিয়ম আনা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, ৪৫ দিন বা তার বেশি দিন বিদেশ সফর করলে মাত্র ১৪ দিন পরিবার ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকতে পারবে। তার থেকে কম সময় হলে সেই সময়সীমা হবে সাত দিন। বিসিসিআইয়ের এই ফরমানে খুশি নন কোহলি।
Read More: আগস্টে মাসেই হবে সাদা বলের সিরিজ, বাংলাদেশ নয় এই দেশের সঙ্গে খেলবে ভারতীয় দল !!
আইপিএল চলাকালীন এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। কোহলি বলেছেন, “মনে হয় না মানুষ পরিবারের মূল্যবোধ সম্পর্কে কিছু বোঝে। আমি খুব হতাশ। যাঁরা হয়তো এইসব বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত নয়, তাদের পরামর্শকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। হয়তো তাদেরই মনে হচ্ছে পরিবারের কারণে প্রদর্শন খারাপ হচ্ছে।” কোহলি আরও বলেছেন, ‘‘মাঠে কঠিন সময় কাটানোর পর পরিবারের কাছে যাওয়া বা তাদের তাদের কাছে পাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিন শেষে ঘরে ফিরে পাওয়াটা কতটা জরুরি তা বলে বোঝানো যাবে না।“
কোহলিকে নিশানা বানালেন গম্ভীর

এবার এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর সেই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “পরিবার সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। তবে একজন ক্রিকেটারকে বুঝতে হবে তাঁর লক্ষ কি। সে নিশ্চই একটা লক্ষ নিয়ে এসেছে। তাঁর মতন দেশকে গর্বিত করার সুযোগ সবাই পায় না। তাই আমি পরিবার-নীতিকে সমর্থন করছি।” এখানেই না থেমে গম্ভীর আরও যোগ করেন, “প্রত্যেকের লক্ষ্য থাকা উচিত দেশকে গর্বিত করা। সেই লক্ষ্যে মনোনিবেশ করলে বাকি ব্যাপারগুলি সব ঠিকঠাক চলবে।“