২০২৪-এর আইপিএলের (IPL) অন্যতম চমক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ওপেনার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক (Jake Fraser-McGurk)। ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছিলেন শেষ মুহূর্তে। তাঁর বদলি হিসেবে ম্যাকগার্ক’কে দলে সামিল করেছিলো দিল্লী ক্যাপিটালস। প্রথমে তাঁকে মাঠে নামান নি কোচ রিকি পন্টিং। কিন্তু সুযোগ পাওয়ার পর এমন ঝড় তোলেন ব্যাট হাতে যে ডেভিড ওয়ার্নারের মত কিংবদন্তিকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হয়েছিলো আইপিএলের (IPL) বেশ কিছু ম্যাচে। প্রতি ম্যাচে ওপেন করতে নেমে রীতিমত তাণ্ডব চালাতে দেখা গিয়েছিলো তাঁকে। প্রতিপক্ষ বোলিং লাইন-আপে যেই থাকুন না কেন, ম্যাকগার্ক ম্যাজিকে যেন প্রতি মুহূর্তেই বল উড়ে যাচ্ছিলো মাঠের বাইরে। রাজস্থান রয়্যালসের (RR) বিরুদ্ধে ২০ বলে করেন ৫০, বেঙ্গালুরুর (RCB) বিরুদ্ধে ৮ বলে করেন ২১, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI) বোলিং-কে নিয়ে ছেলেখেলা করে ২৭ বলে করেন ৮৪।
Read More: অভিষেক ম্যাচে মুশিরের সেঞ্চুরিতে জয় আসলো ভারত B শিবিরে, বিফলে গেল KL রাহুলের ইনিংস !!
দেশের জার্সিতে ম্লান ম্যাকগার্ক-
আইপিএলে (IPL) ৯টি ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন। প্রায় ৩৭ গড় ও ২৩৪.০৪ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ৩৩০ রান। দিল্লী প্লে-অফে উঠতে না পারলেও ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছিলেন জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক (Jake Fraser-McGurk)। আইপিএলের একদম পরেই ছিলো টি-২০ বিশ্বকাপ। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার মূল স্কোয়াডে তাঁর জায়গা না পাওয়া নিয়ে সেই সময় হইচই হয়েছিলো। তরুণ তুর্কি অবশ্য জানিয়েছিলেন, “এই মুহূর্তে আমি হয়ত সুযোগ পাওয়ার জায়গায় নেই।” পরে ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে স্কোয়াডে সামিল করা হয়েছিলো তাঁকে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে কুড়ি-বিশের বিশ্বযুদ্ধের পর অবসর নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। ট্র্যাভিস হেডের সাথে ওপেনার হিসেবে নিয়মিত মাঠে নামছেন ম্যাকগার্ক’ই। আইপিএলে (IPL) যে প্রত্যাশা জাগিয়েছিলেন তিনি, তেমন পারফর্ম্যান্স দেশের জার্সিতে এখনও অধরা তাঁর।
স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসে নি রান-
১১ সেপ্টেম্বর থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ খেলার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তার আগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও একটি সিরিজ খেলছে মিচেল মার্শের (Mitchell Marsh) দল। সেখানেই আন্তর্জাতিক টি-২০ অভিষেক হয় জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের (Jake Fraser-McGurk)। অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ধুন্ধুমার ব্যাটিং করে তাক লাগিয়ে দেবেন তরুণ, এমনটাই আশা করেছিলেন সকলে। কিন্তু দেখা গিয়েছে সম্পূর্ণ উল্টোচিত্র। বাকি ব্যাটাররা যেখানে রানের পাহড় গড়েছেন, সেখানে স্কটিশদের বিপক্ষে শান্তই থেকেছে জেক-এর ব্যাট। কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০তে আউট হয়েছিলেন শূন্য রান করে। এডিনবরা’র মাঠে ৩ বলের বেশী দীর্ঘায়িত হয় নি তাঁর ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে করেন মাত্র ১৬। তাও আসে স্বভাববিরুদ্ধ ১০০ স্ট্রাইক রেটে। তৃতীয় ম্যাচে ফের ০ করেই আউট হয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাফল্য না পেলে হয়ত বাদ’ই পড়বেন তিনি।
সহজ জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া-
টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনালে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার। সেই ব্যর্থতার রেশ কাটিয়ে জয়ের ছন্দে ফিরলো তারা। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে সিরিজে সহজেই জয় ছিনিয়ে নিলো মিচেল মার্শের দল। প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন ট্র্যাভিস হেড (Travis Head)। ২৫ বলে ৮০ রান করেন তিনি। মারেন ১২টি চার ও ৫টি ছক্কা। ৩২০ স্ট্রাইক রেটে খেলা ইনিংসটিই স্কটিশ বোলিং-কে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। ক্যাঙারুবাহিনী জেতে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৯ বলে ১০৩ রান করে নায়ক হন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জশ ইংলিস (Josh Inglis)। ৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজ হাতের মুঠোয় নেয় অজি’রা। তৃতীয় ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ১৪৯ রান তুলেছিলো স্কটল্যান্ড। ক্যামেরন গ্রিনের অপরাজিত ৬২ রানের সুবাদে ২৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় অজি বাহিনী।