IPL 2025: অষ্টাদশতম আইপিএলে (IPL) দুরন্ত ফর্মে দিল্লী ক্যাপিটালস (DC)। বিশাখাপত্তনমের মাঠে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসকে এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে দৌড় শুরু করেছিলো তারা। এরপর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধেও ২৪ বল বাকি থাকতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে অক্ষর প্যাটেলের (Axar Patel) দল। ১৬৪ তাড়া করতে নেমে ১৬ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে তারা। ক্যাপিটালস শিবির এবার ফাটল ধরিয়েছে ‘সুপার কিংস’দের দুর্গেও। চেপকে ২৫ রানের ব্যবধানে জিতেছে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে। ব্যাট হাতে ভালো ছন্দে রয়েছেন ফাফ দু প্লেসি, কে এল রাহুল, অভিষেক পোড়েল’রা। প্রথম ম্যাচে অনবদ্য ইনিংস খেলে জিতিয়েছিলেন ‘ফিনিশার’ আশুতোষ শর্মা। বোলিং-এ নজর কেড়েছেন কুলদীপ, স্টার্করাও। ফাইভ স্টার পারফর্ম্যান্সের মাঝে চিন্তা কেবলমাত্র জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে (Jake Fraser-McGurk) নিয়ে। গত বছরের ফর্মের ধারেকাছেও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে।
Read More: হারিয়েছেন পুরোনো জৌলুস, এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতা জন্য ডুবছে দল !!
উধাও ম্যাকগার্কের বিধ্বংসী ব্যাটিং-

গত মরসুমে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার লুঙ্গি এনগিডি’র (Lungi Ngidi) বিকল্প হিসেবে অস্ট্রেলীয় ওপেনার জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে (Jake Fraser-McGurk) সই করিয়েছিলো দিল্লী ক্যাপিটালস (DC)। ডেভিড ওয়ার্নার রানের মধ্যে না থাকায় প্রথম একাদশে তাঁকে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন দিল্লী কোচ রিকি পন্টিং। আচমকা চলে আসা এই সুযোগ দুই হাত ভরে গ্রহন করেন তরুণ তুর্কি। ব্যাট হাতে রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছিলেন তিনি। ৯ ম্যাচে ৩৬.৬৬ গড়ে করেন ৩৩০ রান। বিশেষজ্ঞদের চমকে দিয়েছিলো তাঁর ২৩৪.০৪ স্ট্রাইক রেট। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মাদের পিছনে ফেলে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের মালিক হয়েছিলেন তিনি। ম্যাকগার্কের মত প্রতিভাকে হাতছাড়া করতে রাজী হয় নি ক্যাপিটালস শিবির। ২০২৫ মরসুমের জন্য ৯ কোটি টাকা খরচ করে ’রিটেন’ করা হয় তাঁকে।
আইপিএল (IPL) কেরিয়ারের দ্বিতীয় বছরে চেনা ছন্দে পাওয়া যাচ্ছে না অজি তরুণকে। ফাফ দু প্লেসি’র সাথে ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককেই ওপেনার হিসেবে এখনও অবধি ব্যবহার করেছেন কোচ হেমাঙ্গ বাদানি। কিন্তু ট্রেডমার্ক আগ্রাসন উধাও তাঁর ব্যাটে। লক্ষ্ণৌর বিরুদ্ধে মরসুমের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় খেলায় সানরাইজার্সের বিপক্ষে ৩৮ করলেও ক্রিজে এক মুহূর্তের জন্য সড়গড় মনে হয় নি তাঁকে। ৩২ বল নিয়েছেন ৩৮ অবধি পৌঁছতে। শেষমেশ জিশান আনসারির বলের লেন্থ বুঝতে না পেরে তাঁরই হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন সাজঘরে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচটিতেও হতাশ করেছেন জেক। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খাতা খোলার আগেই লং অনে ধরা পড়েন রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের হাতে। তিন ম্যাচ মিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে আপাতত ৩৯। স্ট্রাইক রেট’ও আটকে ১০০তে। দ্রুত ছন্দে না ফিরলে নিঃসন্দেহে চাপ বাড়বে ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর।
লীগ তালিকায় শীর্ষে দিল্লী-

গত মরসুমে প্লে-অফের খুব কাছে এসেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিলো দিল্লী ক্যাপিটালসকে (DC)। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা শেষ করে লীগ (IPL) তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। এবার যে শেষ চারের যোগ্যতা অর্জনই প্রাথমিক লক্ষ্য তা আইপিএল শুরুর আগে থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লী ম্যানেজমেন্ট। কোচের পদ থেকে রিকি পন্টিং-কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হেমাঙ্গ বাদানিকে। জিএমআর সংস্থা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বদলে ডায়রেক্টর অফ ক্রিকেট অপারেশনস পদে বসিয়েছে ভেনুগোপাল রাও’কে। মেন্টর হিসেবে দলের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ড কিংবদন্তি কেভিন পিটারসেনকে। রদবদলের ফল’ও মিলেছে হাতেনাতে। এখনও অবধি আইপিএলের একমাত্র অপরাজিত দল দিল্লী ক্যাপিটালস। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। নেট রান-রেট +১.২৫৭। গুজরাত, বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব, লক্ষ্ণৌদেরও ছয় পয়েন্ট ঝুলিতে থাকলেও, নেট রান-রেটে এগিয়ে ক্যাপিটালস শিবির।