IPL 2025: চলতি সপ্তাহের শুরুতেই আইপিএলের সপ্তদশ সিজিনের (IPL 2024) পরিসমাপ্তি ঘটেছে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে পরাস্ত করে তৃতীয় বারের জন্য আইপিএলের খেতাব জয় করলো কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। তবে আসন্ন মরশুমে চ্যাম্পিয়ন কলকাতা দলের চিন্তার বিষয় হতে চলেছে নিলামের মঞ্চ। ২০২২ সালে শেষবার আইপিএলের মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আবার ৩ মরশুম পর ২০২৫ সালে মেগা নিলাম হবে এবং দলে একাধিক পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে।
তবে আসন্ন আইপিএলের নিলামের (IPL 2025 Auction) আগে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। গত বছর পর্যন্ত আইপিএলের দলগুলি মেগা নিলামের আগে চারজন প্লেয়ারকে ধরে রাখতে পারতো। তবে এবার বদলে যাবে নিলামের নিয়মকানুন। বেশ কিছু সূত্রের খবর অনুযায়ী, ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা বিসিসিআইয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন চার জনের বেশি প্লেয়ার রিটেন করার জন্য। আইপিএলের মাঝেই সমস্ত ফ্রাঞ্চাইজি মালিকের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের। তবে, অনির্দিষ্ট কারণে বৈঠক স্থগিত রাখা হয়েছিল।
Read More: মরসুম শুরুর আগেই বড় চমক দিলো নাইট রাইডার্স, দলে সামিল করলো প্রোটিয়া কিংবদন্তিকে !!
আইপিএলে ফিরে আসছে RTM কার্ডের ব্যাবহার
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আসন্ন আইপিএলের মেগা নিলামের জন্য তিনজন প্লেয়ারকে রিটেন করা যাবে এবং একজন প্লেয়ারকে রাইট টু ম্যাচ (RTM) কার্ড ব্যবহার করে একজন প্লেয়ারকে দলে ফেরাতে পারবে। যদিও, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির একাধিক কর্মকর্তারা তাদের পুরানো প্লেয়ারদের ধরে রাখতে চান বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর ইতিমধ্যেই স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছেন তার মতামত। ভেঙ্কি অবশ্য রিটেন প্লেয়ার নিয়ে মন্তব্য করেননি তবে তিনি জানিয়েছেন রাইট টু ম্যাচ (RTM) কার্ডের পুন ব্যাবহার।
RTM কার্ড ব্যাবহারের সুযোগ চাইছেন ভেঙ্কি মাইসোর
মন্তব্য করে তিনি জানিয়েছেন, “প্রতিটি দলের কাছে অন্তত পক্ষে আটটি করে RTM কার্ড ব্যাবহার করার সুযোগ থাকা উচিত যে দলগুলিকে তাদের পুরানো প্লেয়ারদের পুনরায় কেনার সুযোগ দেবে।” আবার অন্য এক ফ্রাঞ্চাইজি কর্তা জানিয়েছেন, “কেবলমাত্র কয়েকটি দল চায় ৬ থেকে ৮ জন প্লেয়ার ধরে রাখার কথা বলেছে। যদি বেশিরভাব প্লেয়ার রিটেন করা হয় তাহলে নিলামের আকর্ষণ কমে যাবে।”
সেই আধিকারিক একটি উদাহরণ দিয়ে জানিয়েছন, “পাঞ্জাব কিংসের মতন দল টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট তারকা নিয়ে পরিপূর্ণ থাকলেও চলতি আইপিএলে কিছুই করতে পারেনি। এই দল গঠন করতে ফ্রাঞ্চাইজির যেমন অর্থ ব্যয় হয়েছে ঠিক তেমনই সময় ও অপচয় হয়েছে। তাই এই ধরণের দলের পক্ষে মূল খেলোয়াড়দের ধরে রেখে বাঁকিদের মুক্তি দিয়ে নতুন দল গঠন করা তুলনামূলক সহজ হবে।”