ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ (Virender Sehwag) বড় বিষ্ফোরণ ঘটালেন। তার এই বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বীরু ২০০২ সালের এমন একটি ঘটনা বর্ণনা করেন যা ভারতীয় ফ্যানরা বিশ্বাস করতে পারেননি। সেহওয়াগ ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে গাইড করা প্রধান কোচ জন রাইট সম্পর্কে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন।
সেহওয়াগকে কলার ধরে ধাক্কা দেন জন রাইট!
প্রাক্তন ভারতীয় দলের ম্যানেজার অমৃত মাথুরের বই ২ জুলাই বুধবার দিল্লিতে লঞ্চ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগও (Virender Sehwag)। এই সময় বীরু ২০০২ সালের এমন একটি ঘটনার কথা বলেন, যা শুনে সবাই অবাক হতে হয়। প্রাক্তন ভারতীয় কোচ গ্রেগ চ্যাপেল এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে বিবাদের কথা নিশ্চয়ই অনেক শুনেছে। তবে এই ঘটনা চ্যাপেলের নয়, জন রাইটের যিনি তাঁর আগে টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ ছিলেন। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সেহওয়াগকে জন রাইটের সাথে তার লড়াই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।
এর জবাবে ‘মুলতানের সুলতান’ বলেন, “একটু হাতাহাতি হয়েছিল। ওভালে ম্যাচটি ছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। আমাদের ১৯০-২০০ রান তাড়া করতে হয়েছিল। তার আগে ৩-৪ ইনিংসে তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাই। বড় শট মারতে গিয়ে এই ম্যাচে উইকেট হারিয়েছি। সেই সময় যদি সুনীল গাভাস্কার আমার অধিনায়ক হতেন, তখন আমি আর কখনও সুযোগ পেতাম না। জন রাইট আমার কাছে এসে ইংরেজিতে বললেন, ক্রিজে থাকো আর ৪০ ওভার খেলো। ফিফটি করো। আমরা তোমাকে বের করতে চাই না। তখন ইংরেজি তেমন বুঝতাম না।”
বীরু যোগ করেন, “আমি বুঝতে পারছিলাম না সে কি বলছে। রান না করলে পরের ম্যাচ থেকে বাদ পড়ব এটাও জানা ছিল না। আমি ২০-৩০ রান করেছি এবং তারপর বাজে শটে আউট হয়েছি। তারপর ড্রেসিংরুমে আমাকে ঘাড় ধরে ধাক্কা দিল। আমি রেগে গিয়ে রাজীব শুক্লাজির কাছে গেলাম এবং বললাম যে আমাকে ভারতে ফিরে যেতে হবে। তিনি ভয় পেয়ে গেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন কি ব্যাপার? আমি বললাম যে সাদা লোকটি আমাকে মেরেছে।”
এরপর রাজীব শুক্লা পুরো ঘটনা খুলে বলেন তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। জন রাইট সৌরভকে বলেছিলেন যে, তিনি আঘাত করেননি কিন্তু ধাক্কা দিয়েছিলেন কারণ তিনি চেয়েছিলেন সেহওয়াগ রান করুক। তারপর জন রাইট সেহওয়াগের রুমে এসে আমার কাছে ক্ষমা চান। সেহওয়াগ অবশ্য এরপর রাইটকে ক্ষমাও করে দেন।