ভারতীয় দলের নির্বাচকদের উপর লাগাতার প্রশ্ন উঠেছে। এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির কাছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার যথেষ্ট কম অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই কারণে তাদের উপর প্রায়ইদিন সমর্থকরা আর পুরনো তারকারা প্রশ্ন তুলে দেন। সুনীল গাভাস্কারের মত তারকারাও তাদের উপর প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ফারুক ইঞ্জিনিয়ার বললেন নির্বাচকদের মিকি মাউজ
ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ফারুক ইঞ্জিনিয়ার ভারতীয় দলের নির্বাচকদের জন্য কড়া শব্দের প্রয়োগ করেছেন। তিনি নির্বাচকদের ‘মিকি মাউজ নির্বাচক কমিটি বলেছেন। তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন,
“নির্বাচনের উপর বিরাট কোহলির প্রভাব থাকে আর এটাই খুবই ভালো। নির্বাচকদের যোগ্যতা কি? এরা সকলে মিলে ১০-১২টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। বিশ্বকাপ চলাকালীন আমি একজন নির্বাচককে চিনিতেও পারিনি আর আমি প্রশ্ন করি উনি কে কারণ তিনি ভারতীয় ব্লেজার পরে ছিলেন। এবং তিনি বলেন যে তিনি একজন নির্বাচক। ওরা সকলে যা করছিল তা হলে অনুষ্কা শর্মাকে চা এনে দিচ্ছিল”।
বড়ো নামেদের দেওয়া হোক পদ
ফারুক ইঞ্জিনিয়ারের মতে যে নির্বাচক পদ বড়ো নামেদের পাওয়া উচিৎ। এমএসকে প্রসাদের আগে সন্দীপ পাটিল, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত আর দিলীপ ভেঙ্গসরকারের মত বড়ো নাম ভারতীয় দলের নির্বাচক প্রধান ছিলেন। এই তিন খেলোয়াড় ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ফারুক ইঞ্জিনিয়ার এটা নিয়ে বলেন যে, “আমার মনে হয় যে দিলীপ ভেঙ্গসরকারের উচ্চতা নির্বাচক কমিটিতে হওয়া উচিৎ”।
সিওএকে নিয়েও বড়ো মন্তব্য
ফারুক ইঞ্জিনিয়ার সিওএকে নিয়েও বড়ো বয়ান দিয়েছেন এবং সৌরভ গাঙ্গুলীর মত ক্রিকেটারের বিসিসিআই প্রধান হওয়ায় খুশি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,
“এটাই সময় যখন আমরা একজন ক্রিকেটারকে পেয়েছি যিনি বোর্ড চালাচ্ছেন, আমার মতে সিওএর কারণে আমরা আমরা অনেক সময় নষ্ট করেছি। ওদের ক্রিকেট সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। ডায়না এডুলজি সামান্যই ক্রিকেট খেলেছেন কিন্তু আপনার এমন একজনকে দরকার যার টেস্ট ক্রিকেটে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ম্যাচের নলেজ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এবং লোধা কমিটির ইনটেনশন ভাল ছিল, কিন্তু ইমপ্লিমেন্ট সঠিকভাবে করা হয়নি। খুব ভুল মানুষদের নির্বাচন করা হয়েছিল (সিওএতে)। আমি একদিন শুনেছিলাম যে ওদের (সিওএ) প্রত্যেকে ৩.৫ কোটি টাকা করে পায়। এটা অপরাধ। এছাড়াও আমার বিশ্বাস ওরা হাজার হাজার টাকা পেয়েছে মিটিং অ্যাটেন্ড করার জন্য। আমার মনে হয় যে ওরা হানিমুনে ছিল। এবং এই হানিমুন এখন শেষ হয়েছে”।
২০১৬য় পেয়েছিলেন দায়িত্ব
এমএসকে প্রসাদ ২০১৬য় টি-২০ বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলের প্রধান নির্বাচক হয়েছিলেন। তার নির্বাচক প্রধান থাকাকালীন ভারত অস্ট্রেলিয়াকে তাদের দেশে প্রথমবার টেস্ট সিরিজে হারিয়েছিল আর ভারতীয় দল লাগাতার ভাল প্রদর্শন করছে। যদিও বেশ কিছু অদ্ভুত সিদ্ধান্তের জন্য তার যথেষ্ট সমালোচনাও হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে আম্বাতি রায়ডু লাগাতার চার নম্বরে ব্যাট করছিলেন কিন্তু বিশ্বকাপ দলে তিনি জায়গা পাননি। বেশ কিছু খেলোয়াড়ের আহত হওয়ার পরও তাকে দলে শামিল করা হয়নি।