পরবর্তী স্টেশন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়………
পরবর্তী স্টেশন সৌরভ গাঙ্গুলি………
পরবর্তী স্টেশন দাদা………
পরবর্তী স্টেশন প্রিন্স অফ ক্য়ালকাটা………
পরবর্তী স্টেশন গড অফ অফসাইড………

সৌরভের ফ্য়ান হলে এর মধ্য়ে কোন নামটা আপনার পছন্দ হবে? নামটা মানে…ইয়ে আর কি…মেট্রো স্টেশনের নাম যদি আমাদের দাদার নামে হয়, তাহলে কেমন শুনতে লাগে কানে, সেটাই আওড়াচ্ছিলাম। প্ল্য়াটফর্ম কোন দিকে হবে, ওসব কথা পরে ভাবা যাবে।


এখানে দেখুনঃ সুপ্রিম নিয়মে বরখাস্ত সভাপতিকেই বোর্ডে চাইছেন দাদা
আজকাল তো এই শহরের ইতিউতি নাম বদল হওয়াই ফ্য়াশন হয়ে গিয়েছে। রাস্তা-ঘাটের নাম রোজ রোজ বদলাচ্ছে। পুরনো নামই মনে থাকে না, তার ওপর আবার নতুন নাম। জোর করে টনিক গেলানোর মতো গলায় ঢেলে দেওয়া। তাও না গেলে পাতি বাংলায় ঠুঁসে দেওয়া। দক্ষিণ কলকাতা আর দক্ষিণ শহরতলীতে গেলে কিছুই যেন মনে আসে না কোথায় এসে পড়েছি। কোথায় যে নামতে হবে তাও মনে পড়ে না।
খানিকক্ষণ ফ্য়ালফ্য়াল করে এদিক-ওদিক চেয়ে থাকা। ঘাড় ঘুরিয়ে বোর্ড দেখেও মাথায় আসে না, কোথায় এসে পড়লাম। পাশের লোককে জিজ্ঞাসা করা হলেও সেই একই উত্তর। “আরে দেখছেন তো বোর্ডে কি লেখা আছে!” হঠাৎ করে বলে ওঠা, আরে সে তো বাংলা পড়তে আমিও জানি। জায়গার আসল নামটা যে মনে থাকে না! উত্তর, “সে কি আমারও মনে আছে না কি!” অনেক মাথা খাটিয়ে ফোনটা পকেট থেকে বের করে গুগল সার্চ। নাহ…এইবার পাওয়া গেল। গীতাঞ্জলি মানে নাকতলা মেট্রো স্টেশন। উফ্! কি দরকার ছিল এমন নাম বিগড়াবার।
গন্তব্য়স্থলে পৌঁছেও শান্তি নেই। আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করার লোকের অভাব নেই। “কিসে করে এলেন?” যাহ আবার ভুলে গিয়েছি। কোথায় যেন নেমেছিলাম। এই ভুলে যাওয়ার চক্করে এমনও হয় মাঝেমধ্য়ে একটা স্টেশন আগে-পরে নেমে যাওয়া। বাধ্য় হয়ে বলতে হলো, বাসে এলাম। নাম না বলতে পারাটা প্রেস্টিজের ব্য়াপার।
কোনটা মাস্টারদা, কোনটা কবি সুভাষ – কিছুই মাথায় থাকে না। এদিকে, সৌরভের জন্মদিনে এক ফ্য়ান তাঁর মনের ইচ্ছে কথা জানিয়েছেন। আবদার, বেহালাতে যে মেট্রো স্টেশন তৈরি হচ্ছে, তার নাম যেন আমাদের দাদার নামে করা হয়। ভারতের সর্বকালের অন্য়তম সেরা অধিনায়কের ওই ডাই-হার্ড ফ্য়ানের নাম রতন হালদার। সৌরভ যেদিন প্রথমবার ভারতের অধিনায়ক হন, সেবার থেকেই তিনি দাদার জন্মদিন পালন করে আসছেন। যেহেতু সৌরভ বেহালাতে থাকেন, আর ওই এলাকাতে মেট্রো স্টেশন হচ্ছে, তাই রতনবাবু চান নামটা দাদার নামেই রাখা হোক। এজন্য় তিনি রেল মন্ত্রক আর বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে চিঠিও লিখবেন খুব তাড়তাড়ি।


ফ্য়ান হোন বা না হোন, সব বাঙালি এক ডাকে চেনে সৌরভ গাঙ্গুলিকে। বাড়ি বেহালা। আর হ্য়াঁ, প্ল্য়াটফর্মটা ডান দিকে হলো কি, বাঁ-দিকে, তাতে কিছু যায় আসে না। বাঁহাতি গড অফ অফসাইড কিন্তু ডান হাতেই বল করতেন।


ভিডিও’তে দেখুন: ফের ব্যাট হাতে মহারাজের ‘বাপি বাড়ি যা’!