ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ ২০২১ এর ২৯টি ম্যাচের পর এই টুর্নামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করতে হয়। এই টি-২০ লীগের বাকি থাকা ৩১টি ম্যাচ কবে আর কোথায় খেলা হবে এটা নিয়ে বর্তমানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এর মধ্যে আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি দলগুলির জন্য একটি খারাপ খবর সামনে এসেছে। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের আইপিএলের বাকি থাকা ম্যাচে অংশ নেওয়া যথেষ্ট মুশকিল হতে পারে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট ক্রিকেট দলের জুনের পর শিডিউল যথেষ্ট ব্যস্ত আর যদি আইপিএলের বাকি থাকা ম্যাচ এই বছর নতুনভাবে আয়োজিত হয়, তো ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা খেলতে পারবেন না। ইসিবির ক্রিকেট নির্দেশক অ্যাসলে জাইলস এই কথা জানিয়েছেন।
আইপিএলের বাকি থাকা ম্যাচ খেলতে পারবেন না ইংলিশ ক্রিকেটাররা
আইপিএল বায়ো বাবলে করোনা পজিটিভ কেস আসার পর এই টি-২০ লীগকে ৪ মে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন এটা হয় সেপ্টেম্বরের শেষে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে বা নভেম্বরের মাঝে আয়োজিত করার হতে পারে। ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটাররা এই দুই সময়ই ব্যস্ত থাকবেন। তাদের সেপ্টেম্বর আর অক্টোবরে বাংলাদেশ যেতে হবে, অন্যদিকে টি-২০ বিশ্বকাপের ঠিক পরেই অ্যাসেজ সিরিজ খেলা হবে।
অ্যাসলে জাইলস ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, “আমাদের এফটিপি শিডিউল যথেষ্ট ব্যস্ত। পাকিস্থান আর বাংলাদেশ সফর রয়েছে”। আইপিএলের আলাদা আলাদা দলে ইংল্যান্ডের ১১জন ক্রিকেটার অংশ নেন।
যথেষ্ট ব্যস্ত ইংল্যান্ডের শিডিউল
অ্যাসলে জাইলস আরও বলেন, “আমরা জানি না যে আইপিএলের বাকি ম্যাচের শিডিউল কী হবে আর এটা কবে আর কোথায় হবে। এই মরশুমে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে আমাদের শিডিউল যথেষ্ট ব্যস্ত। আমাদের টি-২০ বিশ্বকাপ আর তারপর অ্যাসেজ সিরিজ খেলতে হবে। নিজেদের খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোডেরও খেয়াল রাখতে হবে”।
জাইলস এই পরামর্শকে খারিজ করে দিয়েছেন যে ইসিবি নিজেদের রণনীতিতে পরিবর্তন করেছে, যারা আগে বলেছিল যে আইপিএল খেলার কারণে তাদের খেলোয়াড়রা জুন মাসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ পড়তে পারেন। জাইলস বলেন, “নিউজিল্যান্ডের সিনারিও আলাদা ছিল। ওই সিরিজের শিডিউল জানুয়ারির শেষ দিকে হয়েছিল আর ততক্ষণ খেলোয়াড়রা আইপিএল খেলার জন্য এনওসি লেটার পেয়ে গিয়েছিল”।