অনলাইন বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের পরিধি আরও বিস্তৃত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এবার এই মামলায় নজরে এসেছেন ভারতের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh) ও রবিন উথাপ্পা (Robin Utthappa)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের নামে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। এশিয়া কাপের আগেই ড্রিম ইলেভেনকে স্পন্সর হিসাবে হারিয়েছে ভারতীয় দল। ভারত সরকার অনলাইন বেটিং সংক্রান্ত অ্যাপলিকেশন গুলো ব্যান করার জন্য ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে চুক্তি হারিয়েছিল ভারত। ভারত এখন অ্যাপোলো টায়ার্স- এর সঙ্গে চুক্তি করেছে। তবে অন্যদিকে, অনলাইন বেটিং সংক্রান্ত সংস্থা গুলিকে ব্যান করার পাশাপশি তাদের সাথে যুক্ত খেলোয়াড়দের আবার একবার কাঠগোড়ায় তুললো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
যুবরাজ-উথাপ্পার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলো ইডি

সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডি সূত্রের খবর, সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) প্রায় ২.৫ কোটি টাকা এবং রবিন উথাপ্পার ৮.২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু ক্রিকেটারই নন, একই মামলায় বলিউডের একাধিক পরিচিত মুখের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আসলে, এই ধরনের অনলাইন বেটিং অ্যাপলিকেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন একাধিক বলিউড তারকারাও। অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা, অভিনেতা সোনু সুদ এবং নেহা শর্মাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সূত্রের দাবি, উর্বশীর ২.০২ কোটি টাকা, সোনু সুদের ১ কোটি টাকা এবং নেহা শর্মার ১.২৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সব মিলিয়ে এই পর্যায়ে মোট ৭.৯৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
Read More: বাদ শুভমান গিল, ঈশান কিষান সহ এই ফ্লপ খেলোয়াড়কে নিয়ে T20 বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করলো BCCI !!
ধাওয়ান-রায়নাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি

প্রসঙ্গত, একটি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে এই মামলায় প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না (Suresh Raina) ও শিখর ধওয়ানকে (Shikhar Dhawan) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যুবরাজ-উথাপ্পার আগে ধাওয়ান-রায়নাদের থেকে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, 1xBet নামের একটি বেআইনি বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এই অ্যাপের বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও, এখনও পর্যন্ত ইডি মোট ১৯ কোটি ৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পেরেছে। তবে, তারা আশ্বাস দিয়েছে তাদের তদন্ত এখনো চলমান।