যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra Chahal) ও ধনশ্রী ভার্মা’র যে বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে তা নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিলো গত বছর থেকেই। শেষমেশ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সত্যি হয় আশঙ্কা। মুম্বইয়ের বান্দ্রা ফ্যামিলি কোর্টে ডিভোর্সের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। নিয়ম মেনে মাসছয়েকের ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ড দিয়েছিলো আদালত। কিন্তু তা মানতে চান নি দুই পক্ষই। যেহেতু দীর্ঘ সময় দু’জন আলাদা রয়েছেন, সেহেতু কুলিং অফ পিরিয়ডের প্রয়োজন নেই, নির্দেশ দেয় বম্বে হাইকোর্ট। ফলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হয় বান্দ্রা ফ্যামিলি কোর্ট। আইপিএল শুরুর আগেই ডিভোর্স চূড়ান্ত হয় চাহাল ও ধনশ্রী’র (Dhanashree Verma)। ৬০ কোটি টাকা খোরপোশ দিতে হবে ক্রিকেটতারকাকে, ছড়িয়েছিলো গুঞ্জন। কিন্তু শেষমেশ জানা যায় যে ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ। তাঁদের দাম্পত্য যেমন বরাবরই থেকেছে চর্চায়, তেমন বিচ্ছেদ নিয়ে ও সরগরম থেকেছে নেটদুনিয়া।
Read More: “তিন-চার-পাঁচ বছর ধরে ব্যর্থ হচ্ছিলো…” ইরফানের নিশানায় বিরাট-রোহিত? কোচ গম্ভীরকেই সমর্থন প্রাক্তনীর !!
বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ধনশ্রী-

অনলাইন নাচের ক্লাসে আলাপ চাহাল (Yuzvendra Chahal) ও ধনশ্রীর। ২০২০’র ডিসেম্বরে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন তাঁরা। বছর চারেকের মধ্যেই ভেঙেছে সম্পর্ক। বিচ্ছেদ যে যন্ত্রণা দিয়েছে তা ‘স্পিল দ্য টি’ নামে একটি পডকাস্টে অকপটে স্বীকার করেছেন ক্রিকেটতারকার প্রাক্তন স্ত্রী। ধনশ্রী (Dhanashree Verma) জানিয়েছেন, “ডিভোর্স মোটেও উদ্যাপনের জিনিস নয়। এটা কোনো সেলিব্রেশন নয়। এটা দুঃখের এবং গভীর আবেগের বিষয়। মনে রাখা উচিৎ যে এটার সাথে কেবল দু’জন মানুষ জড়িত নয়, সাথে তাঁদের পরিবারও জড়িত-যাঁরা আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে, যাঁরা আপনার ভালো চায়।” “আমার মনে হয় দাম্পত্যের মধ্যে দুঃখ আর বিশৃঙ্খলার বিষয়গুলি দুই পক্ষকেই বুঝতে হয়। ভালোবাসা দিয়ে বিবাহের শুরুটা হয়। আর তা যখন শেষ হয়, তখন প্রায়শই সেটা হয় অবিশ্বাস দিয়ে,” বিচ্ছেদের পর উপলব্ধি তাঁর।
আদালতকক্ষে যেদিন সিলমোহর পড়েছিলো বিচ্ছেদে, সেই দিনের অনুভূতিও জানিয়েছেন ধনশ্রী। বলেন, “যেদিন ওটা (ডিভোর্স) হলো সেই দিন আমি খুব আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলাম। আমার পরিবার, আমার আশেপাশের মানুষজনের জন্যও দিনটা বেদনার ছিলো। যদিও আমরা মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম, তবুও রায় ঘোষণার ঠিক আগে আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম। আমি হাউহাউ করে কাঁদছিলাম।” মাসখানেক আগে ইউটিউবার রাজ শামানি’র পডকাস্টে অতিথি হয়ে এসেছিলেন চাহাল (Yuzvendra Chahal)। ডিভোর্সের প্রসঙ্গে বলেন, “সেই সময় আমি চার-পাঁচ মাস চূড়ান্ত অবসাদে ভুগছিলাম। আমার অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হত। চোখে অন্ধকার দেখতাম। শুধুমাত্র কয়েকজন এই বিষয়গুলি জানেন, যাঁরা ঐ সময় আমার সাথে ছিলেন। তা ছাড়া আর কারও সাথে এই অনভূতিগুলি ভাগ করে নিই নি। ঐ সময়ে আমি আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছি।”
টি-শার্ট বিতর্কের কেন্দ্রে চাহাল-ধনশ্রী-

ডিভোর্সের পর আদালত থেকে যখন বেরোন চাহাল (Yuzvendra Chahal), তখন ক্রিকেটতারকার গায়ে ছিলো একটি কালো টি-শার্ট। বুকে সাদা অক্ষরে লেখা ছিলো, ‘বি ইওর অন সুগার ড্যাডি।’ সদ্যপ্রাক্তন স্ত্রী’কে ব্যঙ্গ করেই ঐ টি-শার্ট সেদিন পরেছিলেন চাহাল, মনে করেছিলো নেটদুনিয়া। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়েও মুখ খুলেছেন ধনশ্রী। বলেছেন, “ও (চাহাল) প্রথম বেরিয়েছিলো। তারপর টি-শার্ট নিয়ে হইচই শুরু হয়। আমি বিষয়টি জানতামও না কারণ আমি ভিতরে ছিলাম তখনও। পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাই কারণ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাইছিলাম না। আমি একটি সাধারণ টি-শার্ট ও জিন্স পরেছিলাম। আমি নিজের গাড়িতে বসেছিলাম। চেষ্টা করছিলাম দম নেওয়ার। কি ঘটেছে তা জানার আগেই সবাই ঐ ‘স্টান্ট’-এর কারণে আমায় নিয়ে জল্পনা শুরু করে দিয়েছিলো। আমি শুধু ভেবেছিলাম অবশেষে এই অধ্যায়টা সম্পূর্ণ হলো।”