বিসিসিআই (BCCI) সচিব পদে গত পাঁচ বছর একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম কেড়ে নিয়েছিলেন জয় শাহ (Jay Shah)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দ্বিতীয় দফায় পেয়েছিলেন বোর্ড সচিবের দায়িত্ব। তাঁর পদের মেয়াদকাল শেষ হত ২০২৫ সালে। তার আগেই অবশ্য বিসিসিআই-কে (BCCI) বিদায় জানিয়েছেন তিনি। ভারত ছেড়ে এবার বিশ্ব ক্রিকেটের মসনদে বসেছেন তিনি। কনিষ্ঠতম ব্যক্তি হিসেবে আইসিসি’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন গত পয়লা ডিসেম্বর থেকে। পূর্বতন চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে (Greg Barclay) সরে দাঁড়ানোয় খালি হয়েছিলো পদটি। ভোটদানে অংশগ্রহণকারী ১৬টি দেশের মধ্যে ১৫টির সমর্থন পেয়েছেন জয় শাহ (Jay Shah)। পড়শি দেশ পাকিস্তান ভোট না দিলেও বিপক্ষে কোনো প্রার্থীও দাঁড় করায় নি। ফলে একপেশে জয় পেতে কোনো সমস্যায় হয় নি ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসকের।
Read More: IND vs AUS 5th Test: “মেহনতই করে নি…” ব্যর্থ বিরাটকে তুলোধোনা ইরফান পাঠানের, তোপ গাওস্করেরও !!
জয় শাহের শূন্য কুরসীতে দেবজিৎ-
জয় শাহ (Jay Shah) বিসিসিআই (BCCI) ছেড়ে আইসিসি’তে পা বাড়ানোর পর কে বসবেন তাঁর শূন্য আসনে তা নিয়ে শুরু হয়েছিলো চর্চা। গুঞ্জন শোনা গিয়েছিলো যে দিল্লী ক্রিকেট সংস্থার (DDCA) সাথে জড়িত থাকা রোহন জেটলি (Rohan Jaitley) হতে চলেছেন পরবর্তী সচিব। জয় শাহের (Jay Shah) মতই রাজনৈতিক যোগসূত্র ছিলো তাঁর। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ছেলে তিনি। কিন্তু পরে দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান রোহন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা ও বর্তমান সিএবি প্রধান স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Snehasish Ganguly) নাম’ও ভাসছিলো ক্রিকেটমহলের অলিন্দে। বিসিসিআই-এর তরফে নাকি যোগাযোগ করা হয়েছে তাঁর সাথে। জানানো হয়েছে বড় দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত থাকতে, খবর মিলেছিলো বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে। শেষমেশ অবশ্য রোহন বা স্নেহাশীষ-শিকে ছিঁড়লো দু’জনের কারও ভাগ্যেই।
বিসিসিআই (BCCI) সহ-সচিব পদে থাকা দেবজিৎ সইকিয়া’কে (Devajit Saikia) জয় শাহ (Jay Shah) সরে দাঁড়ানোর পর গত ৯ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো। প্রথমে মনে করা হয়েছিলো যে ২০২৫-এর সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন তিনি। তারপর নতুন করে নির্বাচনের মাধ্যমে স্থির হবে সচিবের নাম। কিন্তু সংবাদমাধ্যম নিউজ ২৪ সূত্রে খবর যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় স্থায়ী দায়িত্বও পাচ্ছেন তিনিই। সচিব পদে নিজের মনোনয়ন পত্রই ইতিমধ্যে জমা করে দিয়েছেন দেবজিৎ (Devajit Saikia)। আসাম সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদে রয়েছেন তিনি। সাথে বিসিসিআই-এর (BCCI) গুরু দায়িত্ব’ও সামলাতে চলেছেন। ক্রিকেটের সাথে তাঁর যোগাযোগ নতুন নয়। বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে থেকেছেন আগেও। অসমের হয়ে চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। রয়েছে ৫৪ রান।
বড় চ্যালেঞ্জ থাকছে অপেক্ষায়-
২০২৫ সালে ভারতে আয়োজিত হওয়ার কথা এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025), মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup 2025)। দুই হাইপ্রোফাইল টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সামলাতে হবে দেবজিৎ সইকিয়া’কে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারত পাকিস্তানে যাচ্ছে না। পালটা হিসেবে ভারতে এসে না খেলার ঘোষণা করেছে পাকিস্তান’ও। দুই মেগা টুর্নামেন্টে তাদের ম্যাচগুলি মধ্যপ্রাচ্যে সরানো হবে নাকি বিকল্প ভেন্যু হিসেবে শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁকে। সচিব থাকাকালীন ঘরোয়া ক্রিকেটকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন জয় শাহ (Jay Shah)। জাতীয় দলের তারকাদেরও ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিলেন তিনি। দেবজিতের আমলেও সেই রীতি বহাল থাকে, নাকি বড়সড় কোনো রদবদল চোখে পড়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকবে ক্রিকেটমহল।