মুশকিলে গৌতম গম্ভীর, এই মামলা নিয়ে দিল্লি পুলিশ দায়ের করল চার্জশিট

ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ওপেনিং ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর এখন আরো একটি নতুন মামলায় ফেঁসে গিয়েছেন। ক্রিকেটা থেকে রাজনেতা হওয়া গৌতম গম্ভীর এই বছর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি থেকে বিজেপির সাংসদ নির্বাচিত হন। যাকে নিয়ে দিল্লি পুলিশ চার্জশিট দায়ের করেছে।

এই নতুন মামলা ফাঁসলেন গৌতম গম্ভীর

মুশকিলে গৌতম গম্ভীর, এই মামলা নিয়ে দিল্লি পুলিশ দায়ের করল চার্জশিট 1

ভারতের হয়ে তিন ফর্ম্যাটেই প্রতিনিধিত্ব করা গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে একটি পূর্ণ অভিযোগ পত্র দায়ের করা হয়েছে। এরপর দিল্লি পুলিশ চার্জশিট দায়ের করেছে। এই মামলা নিয়ে অভিযোগকারী গৌতম গম্ভীরের উপর বড়ো অভিযোগ করে অভিযোগ করেছেন যে তিনি ২০১১য় গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমে একজন রিয়েল এস্টেট প্রোজেক্টের অধীনে ৫০ এর বেশি ফ্ল্যাট বুক করিয়েছিলেন, কিন্তু তারা এখনো সেটা পাননি।

দিল্লি পুলিশ গম্ভীরের উপর প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করল চার্জশিট

মুশকিলে গৌতম গম্ভীর, এই মামলা নিয়ে দিল্লি পুলিশ দায়ের করল চার্জশিট 2

আসলে গৌতম গম্ভীর রুদ্র বিল্ডওয়েল রিয়ালিটি প্রাইভেট লিমিটেড আর এইচআর প্রাইভেট লিমিটেডের যুগ্ম পরিকল্পনার একজন ডাইরেক্টর আর ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসডর ছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে অ্যাপার্টমেন্ট বুকিং করার বাহানায় কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এই মামলা নিয়ে দিল্লি পুলিশের দায়ের করা চার্জশিটের অনুসারে বক্তব্য যে, “ডেভলপার্সরা ৬ জুন ২০১৩য় মঞ্জুর ভবন পরিকল্পনা শেষ হওয়ার পরও জুন-জুলাই ২০১৪য় পীড়িতদের সঙ্গে বিল্ডার বিক্রেতা চুক্তিকে পরিণতি দেওয়া হয়। ডেভলপারদের দ্বারা অনাধিকৃতরূপে পীড়িতদের কাছ থেকে টাকার দাবী আর সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা ২৩ জুন ২০১৩র পরা করা হয়েছিল”। আগে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, “ইনভেস্টারদের জেনেশুনে অন্ধকারে রেখে এই ভূমিকাকে প্রস্তাবিত সাইটের সঙ্গে যুক্ত মোকদ্দমার ব্যাপারে আড়াল করা হয়েছিল। আধিকারিকরা আবশ্যক লাইসেন্স ফিজের ভুগতানে ডিফল্টার্স আর নিয়ম পালন না করার কারণে ১৫ এপ্রিল ২০১৫র পরিকল্পনার জন্য অনুমোদনকে রদ করে দেওয়া হয়েছিল”।

গৌতম গম্ভীরের উপর ইনভেস্টারদের আকর্ষিত করার অভিযোগ

মুশকিলে গৌতম গম্ভীর, এই মামলা নিয়ে দিল্লি পুলিশ দায়ের করল চার্জশিট 3

এই মামলায় গৌতম গম্ভীর ছাড়াও অন্য প্রমোটারদের মধ্যে মুকেশ খুরানা, ববিতা খুরানা আর গৌতম মেহেরার নাম শামিল রয়েছে, যাদের উপর আইপিসির ধারা ৪০৬ (বিশ্বাসঘাতকতা), ৪২০ (প্রতারণা), আর ৩৪ (ক্রিমিনাল ইন্টেনশন) লাগানো হয়েছে। অভিযোগকারি বলেছেন যে,

“পরিকল্পনাকে বড়ো লক্ষ্যে উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল আর বিজ্ঞপিত করা হয়েছিল যে ব্র্যাণ্ড অ্যাম্বাসডর হিসেবে গৌতম গম্ভীর পরিকল্পনায় ইনভেস্ট করার জন্য খরিদদারদের আকর্ষিত করতে আর আমন্ত্রিত করতে সাহায্য করেছেন”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *