বিশ্ব ক্রিকেটের সব থেকে বড় ও জনপ্রিয় লীগ হল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL)। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা এই লিগে অংশ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। অনেক ক্রিকেটারের জন্য আইপিএল কেবল একটি টুর্নামেন্ট নয়, এটি আন্তর্জাতিক দলে সুযোগ পাওয়ার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। আইপিএল হলো এমনই একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রতিভার সঙ্গে সুযোগের মিলন হয়ে থাকে। তবে, এমন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ও রয়েছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের থেকে আইপিএলকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায়, যখন দেশের হয়ে খেলার কথা আসে, তারা ‘আহত’ হয়ে যান, কিন্তু আইপিএলের জন্য একই খেলোয়াড় ফিট হয়ে যান।
বছরে ২০০ ফিন আনফিট থাকেন এই তারকা

এমনই একজন খেলোয়াড় হলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের তারকা পেসার দীপক চাহার (Deepak Chahar)। দীপককে প্রায়ই দেখা যায় যে, দেশের হয়ে খেলার সময় তিনি চোটের কারণে বাইরে থাকেন, কিন্তু আইপিএলের সময় তিনি পুরোপুরি ফিট হয়ে যান। এবছর, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল দীপককে। একসময়ে তাকে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) বিকল্প হিসেবে দেখা হতো। বোলিংয়ের পাশাপশি ব্যাটিংয়ের হাত তাঁর মন্দ নয়। লোয়ার অর্ডারে তার বড় শট খেলার ক্ষমতা অনেক উপযোগী ছিল।
Read More: আবারও রোহিতকে নিয়ে ছেলেখেলা MI’এর, হার্দিকের সামনে করতে হবে ‘জি স্যার’ !!
দীপকের ক্যারিয়ার বেশ চড়াই-উতরাইপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ৩৮টি ম্যাচ খেলেছেন। তিনি মোট ১৩টি ওডিআই, ২৫টি টি- টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ওডিআই ফরম্যাটে ৩০.৫৬ গড়ে এবং ৫.৭৫’ এর ইকোনোমিতে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ২৪.০৯ গড়ে ও ওভার পিছু ৮.৩০ রান দিয়ে ৩১ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে, আইপিএলে বেশ সফলতা পেয়েছেন তিনি। ৯৫টি ম্যাচে ২৯.৫১ গড়ে এবং ওভার পিছু ৮.১৪ রান দিয়ে ৮৮টি উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু চোটের কারণে দীপকের ক্যারিয়ার এখন মূলত আইপিএলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
আইপিএলের মঞ্চেও থাকেন আনফিট

দীপকের ভবিষ্যৎ কোনোদিন চিরস্থায়ী ছিলোনা। চোটের কারণে তাঁর দেশের জার্সিতে খুব বেশি ম্যাচেও দেখা যায়নি। ২০২২ সালের আইপিএলে চোটের কারণে পুরো মৌসুম বাইরে ছিলেন দীপক। তাছাড়া, ২০২৩ ও ২০২৪’ এর আইপিএলেও দুর্বল ফিটনেস নিয়ে খেলেছিলেন তিনি। তবুও, সব ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। দীপকের ফিটনেস হলো তাঁর সবথেকে বড় শত্রু। দেশের জার্সিতে তাকে দেখা না গেলেও আইপিএলে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।