আইপিএল ২০২০-র শুরু হয়ে গিয়েছে। টুর্নামেন্টের এগারোতম ম্যাচ দিল্লি ক্যাপিটালস আর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মধ্যে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে দিল্লি টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান নেয় আর সানরাইজার্স হায়দ্রবাদ প্রথমে ব্যাট করে ১৬৩ রানের লক্ষ্য দেয়। যা দিল্লি হাসিল করতে পারেনি আর ১৫ রানে ম্যাচ হেরে যায়। এই ম্যাচ হারের পর শ্রেয়স আইয়ার হারের আসল কারণ জানিয়েছেন।
হায়দ্রাবাদ জেতে প্রথম ম্যাচ
দিল্লি ক্যাপিটালসের দল টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়,। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্সের দল ১৬২ রান করে দিল্লির দলকে ১৬৩ রানের লক্ষ্য দেয়। রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির দল নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৭ রানই করতে পারে। পরিণামস্বরূপ দিল্লি ১৬ রানে ম্যাচ হেরে যায়। সানরাইজার্সের টুর্নামেন্ট এটি প্রথম জয়। এই ফ্রেঞ্চাইজি শুরুর দুটি ম্যাচ হেরে গিয়েছিল, কিন্তু এখন দিল্লির সঙ্গে খেলা হওয়া তৃতীয় ম্যাচ জয় পেয়ে নিজেদের প্রথম জয় হাসিল করে নিয়েছে।
এর আগে ফ্রেঞ্চাইজি তাদের প্রথম দুটি ম্যাচ হেরেছিল। এই ম্যাচ জেতার সঙ্গেই হায়দ্রবাদের খাতায় এখন ২টি হারের পাশাপাশি একটি জয়ও উঠে এসেছে।
শ্রেয়স আইয়ার জানালেন কোথায় হয়েছে ভুল
আইপিএল ২০২০-তে দিল্লি ক্যাপিটালস তৃতীয় ম্যাচে নিজেদের প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে। টুর্নামেন্টে শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন দিল্লি হায়দ্রাবাদের দেওয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি আর ১৫ রানে ম্যাচ হেরে যায়। ম্যাচ হারার পর পোষ্ট ম্যাচ সেরিমনিতে শ্রেয়স আইয়ার বলেন,
“আমরা ১৬২ রানে খুশি ছিলাম, এটা এই উইকেটে একটা সাধারণ স্কোর ছিল। আমাদের এই বিষয়ে আন্দাজ ছিল না যে এই উইকেট কেমন হবে, কারণে এই উইকেটে এটা আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। ওরা আমদের তিন বিভাগে মাত দিয়েছে আর এর জন্য ওদের শ্রেয় দেওয়া উচিৎ। এটা আশ্চর্যজনক ছিল আর দ্বিতীয় ইনিংসে এটা দু-তরফা ছিল। যখন আমি ব্যাটিং করতে আসি, তো বল ব্যাটে আসছিল না। আমরা ভেবেছিলাম যে শিশির পড়বে, কিন্তু আমরা এই সময় কোনো বাহানা বানাতে চাইনা। আমরা যেভাবে চাইছিলাম, তার উপর মনোযোগী ছিলাম না”।
উইকেট এবং পরিস্থিতি থেকে শিখেছি
আবুধাবির মাঠে দিল্লির এটা প্রথম ম্যাচ ছিল। যার পিচ এবং পরিস্থি তাদের যথেষ্ট সমস্যায় ফেলেছে। আইয়ার পিচ এবং পরিস্থিতি নিয়ে বলেন,
“এই উইকেট আর পরিস্থিতি থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেয়েছি। রিকি পন্টিং ভেতরে আসেন (টাইম আউটের সময়) আর আমাদের একটা পার্টনারশিপের প্রয়োজন ছুল যাতে সুযোগ পাওয়া যায়, কারণ আবশ্যক রান রেট যথেষ্ট বেশি ছিল। মাঠে ভীষণই বড়ো আর আমরা ডবলস নিতে কোনো কার্পণ্য করিনি। আমরা জানতাম যে সীমারেখা এখানে বড়ো আর সিঙ্গল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, এটা আমাদের জন্য উপযোগী ছিল না। আশা রয়েছে যে আগামীবার আমরা সুযোগের ফায়দা নিতে পারব”।