ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বহুল প্রত্যাশিত বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজটি এ বছরের শেষে এ্যডিলেড ওভালে ডে-নাইট টেস্টের মধ্য দিয়ে শুরু হবে। চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শেষে অর্থাৎ ১০ ই নভেম্বর শেষ হওয়ার পরে টিম ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাবে।
এই টেস্ট সিরিজের মধ্যে দিয়ে টিম ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করবে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বজুড়ে অচলাবস্থা নেমে এলে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতের জাতীয় মার্চ মাস থেকে একটিও ম্যাচ খেলেনি। এ্যডিলেডে ডে-নাইট টেস্ট বিদেশি মাটিতে ভারতের প্রথম গোলাপী বলের ম্যাচ হতে চলেছে।
ডে-নাইট টেস্ট ম্যাচটি ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর খেলা হব এরপল বাকি তিনটি টেস্ট মেলবোর্ন (২৬-৩০ ডিসেম্বর), সিডনি (৭-১১ জানুয়ারি) এবং ব্রিসবেন (জানুয়ারি১৫-১৯) অনুষ্ঠিত হবে। টেস্টের আগে ৩ ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে তবে সীমিত ওভারের সিরিজ গুলোর নির্ধারিত সময় এখনও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করতে পারেনি।
সকল ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা বিরাট কোহলি এন্ড কোং ‘কে একইরকম পারফরম্যান্স নিয়ে আসতে দেখার অপেক্ষায় আছেন যা বিরাটরা ২০১৮/১৯ সফরকালে একটি ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের মধ্যে দিয়ে অর্জন করেছিলো অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ফলাফলের মধ্যে দিয়ে হারিয়ে কেবল বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ধরে রাখাই নয় পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলো বিরাটরা।
মেন ইন ব্লু ওয়ানডে সিরিজও একই ব্যবধানে জিতেছিল এবং ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ১-১ ফলাফলে ড্র করেছিল। খবরে অনুযায়ী, আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্যে দিয়ে ভারতের অস্ট্রেলিয়ার সফর শুরু হবে এবং তারপরে ৪ ডিসেম্বর থেকে ওয়ানডে সিরিজ হবে, তবে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলার তারিখগুলি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এখনও চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে কুইন্সল্যান্ড সরকারের।
কুইন্সল্যান্ড সরকার ব্রিসবেনে আইপিএল থেকে ভারতীয় ও অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের আগমন এবং কোয়ারিন্টিনের অনুমোদন দেয়নি। কুইন্সল্যান্ডে কেউ যাতায়াত করলে তাকে ১৪ দিনের একটি কোয়ারিন্টিনের থাকা বাধ্যতামূলক ।
এদিকে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে মার্চ মাস থেকে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিলো। অবশেষে চলতি বছরে জুলাই মাস থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আবার শুরু হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হোম টেস্ট সিরিজটির মধ্যে দিয়ে। । এরপরে ইংল্যান্ডে খেলতে আসে পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।