পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) আয়োজন করতে গিয়ে সম্প্রতি একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে। এমনকি তারা আইসিসির বঞ্চনার শিকার হয়েছে বলে একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার অভিযোগ তুলছেন। এবার প্রাক্তন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria) পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন। তিনি জাতীয় দলে একাধিকবার বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। দিনেশ কানেরিয়া (Danish Kaneria) জানান হিন্দু সংখ্যালঘুদের পাকিস্তানে প্রতিনিয়ত খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
পাকিস্তানে বৈষম্যের শিকার সংখ্যালঘুরা-

অনিল দলপতের (Anil Dalpat) পর দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria) ছিলেন পাকিস্তানের দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার। দীর্ঘদিন তিনি জাতীয় দলের হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন। উপযুক্ত সম্মান না পাওয়ায় এই প্রাক্তন ক্রিকেটার এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি সভায় পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের বৈষম্যের বিষয়ে দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria) চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন। এই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানে বঞ্চনার শিকার হওয়া অসংখ্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তন পাক তারকা বলেন, “আমরা যারা এখানে উপস্থিত হয়েছি সবাই পাকিস্তানে হাওয়া বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছি। আমি বহুবার বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমার ক্রিকেট জীবনে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। যে সন্মান এবং সমান অধিকার পাওয়ার কথা ছিল আমি পাইনি। যার জন্য আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছি। এখানে যারা এসেছেন সকলেই এই বৈষম্যের বিষয়ে কথা বলেছেন। আমরা সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি তারা ব্যবস্থা নেবে।”
ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতো-

প্রাক্তন তারকা স্পিনার দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria) পাকিস্তানের হয়ে ৩.০৭ ইকোনমি রেটে ৬১ টি টেস্ট ম্যাচে মোট ২৬১ টি উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন। জাতীয় দলে খেলার সময় তিনি শহীদ আফ্রিদির (Shahid Afridi) থেকে বারবার ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য বার্তা পেতেন বলে জানিয়েছেন। দানিশ এই বিষয়ে বলেন, “আমি ভালো পারফর্ম্যান্স করে ক্রিকেট জীবনে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। একমাত্র অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক (Inzamam-ul-Haq) আমার পাশে ছিলেন। শোয়েব আখতারও (Shoaib Akhtar) আমাকে সমর্থন করতেন। কিন্তু শহীদ আফ্রিদি (Shahid Afridi) বারবার ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দিতেন। এছাড়াও অনেক ক্রিকেটার আমার পাশে বসে পর্যন্ত খেতেন না।”