এই বছর ক্রিকেট বিশ্ব একাধিক উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেছেন ক্রিকেটাররা। চোটের কবলে পড়ে হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya), শুভমান গিলের (Shubman Gill) মতো তারকারা দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) এখনও চোটের কারণে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি। অন্যদিকে দিলীপ দোশী (Dilip Doshi), রোবিন স্মিথের (Robin Smith) মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের মৃত্যুর খবরও ক্রিকেট বিশ্বকে শোকস্তব্ধ করেছে এই বছর। বছর শেষে এবার বিশ্বকাপ জয়ী তারকার মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের খবর সামনে এসেছে।
Read More: ছুপা রুস্তম সূর্যকুমার যাদব, এই লাস্যময়ী নারীকে দিতেন মাঝ রাতে ‘নটি’ ম্যাসেজ !!
মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন বিশ্বকাপ জয়ী-

ড্যামিয়েন মার্টিন (Damien Martyn) অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম কিংবদন্তি প্রাক্তন ক্রিকেটার। ৫৪ বছর বয়সি এই তারকার গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর এসেছে। ২৬ ডিসেম্বর মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হন তিনি। দ্রুত পরিবার তাকে মেলবোর্নের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় কোমায় চলে যান। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। মার্টিনের সুস্থতা প্রার্থনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাডম গিলক্রিস্ট (Adam Gilchrist) থেকে ড্যারেন লেহম্যানরা (Darren Lehmann) পোস্ট করছেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিফ এক্সিকিউটিফ টড গ্রিনবার্গ (Todd Greenberg) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, “ড্যামিয়েনের অসুস্থতার খবর শুনে খুবই খারাপ লাগছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (Cricket Australia) এবং ক্রিকেট বিশ্বের পক্ষ থেকে আমরা সবাই তার পাশে আছি। কিংবদন্তি ক্রিকেটারের দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করছি।”
অ্যাডম গিলক্রিস্টের বার্তা-

ড্যামিয়েন মার্টিনের অসুস্থতার খবর সামনে আসতেই তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রাক্তন সতীর্থ অ্যাডম গিলক্রিস্টের বার্তা সামনে এসেছে। তিনি বলেন, “আমি জানি ও সবরকমভাবে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছে। সঙ্গী আমান্ডা এবং ওর পরিবার জানেন বহু ভক্ত তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।” প্রাক্তন সতীর্থ ড্যারেন লেহম্যানও পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “মার্টিনের জন্য আমি প্রার্থনা করছি। নিজেকে শক্ত করো। কিংবদন্তিদের মতো লড়াই চালিয়ে যাও।”
মার্টিন (Damien Martyn) ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন। ১৯৯৯ এবং ২০০৩ সালের দলের বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ২০০৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে ভাঙা আঙ্গুল নিয়ে অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন এই তারকা। অধিনায়ক রিকি পন্টিং (Ricky Ponting)’এর সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে ভারতের থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিলেন।