২০১৬ সালের আইপিএল বিজেতা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে গত মৌসুমে মেগা ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (KKR) পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছিল সানরাইজার্স। তবে কলকাতা দলের সামনে নকআউট পর্যায়ে তাদের আত্মবিশ্বাস হারাতে দেখা গিয়েছিল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থতার পর মেগা ফাইনালেও আবার কলকাতা নাইট রাইডার্স এর কাছে হারতে হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলকে। ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে (Pat Cummins) সানরাইজার্স দলে শামিল করেছিলেন মালকিন কাব্য মারান। এমনকি তাকেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দিতে দ্বিধাবোধ করেননি কাব্য।
কাব্যের হৃদয় ভাঙলেন কামিন্স
কামিন্সের নেতৃত্বে হায়দ্রাবাদ দলের ব্যাটসম্যানরা প্রথম বল থেকেই কাউন্টার অ্যাটাক করতে পিছুপা হত না। কিন্তু কলকাতার বিরুদ্ধে তাদেরকে বেশিরভাগ সময় ব্যাকফুটেই দেখা গিয়েছে, পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে তাদের বিরুদ্ধে মোট ৩বার মুখোমুখি হয়েছে সানরাইজার্স। তিন বারেই কলকাতার কাছে পরাজিত হয় সানরাইজার্স। আসন্ন আইপিএলের আগে সানরাইজার্স দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে নিয়ে বড় খবর উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, কিংবদন্তি তারকা আসন্ন আইপিএলের আগেই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দল ত্যাগ করতে চলেছেন। তিনি তার পুরানো ফ্রাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে পুনরায় এন্ট্রি নেবেন।
খ্যাতি পাওয়ার আগে ২০১৪ সালে প্রথম কলকাতা দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে পরবর্তী সময়ে মুম্বই, দিল্লি ফ্রাঞ্চাইজিরও অংশ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি তার আইপিএল ক্যারিয়ারে সর্বাধিক ছয় সিজিন কলকাতার জার্সিতে কাটিয়েছেন। ২০২২ সালে তাকে কলকাতার হয়ে শেষবার খেলতে দেখা গিয়েছিল এবং ২০২৩ সালের আইপিএলে তিনি না খেলার সিদ্ধান্ত নিতে কলকাতা ফ্রাঞ্চাইজি তাকে রিলিজ করে দেয়। এরপর ২০২৪ সালের আইপিএলে ২০.৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে সানরাইজার্স দলের অংশ হয়ে ওঠেন।
KKR দলে এন্ট্রি নেবেন কামিন্স
সূত্রের খবর অনুযায়ী কামিন্সকে আবার কলকাতা দলে দেখা যাবে। কামিন্স প্রথম মৌসুমেই দলকে নেতৃত্ব দিতে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিলেন, তবে ব্যাট ও বল হাতে তার পারফরমেন্স ছিল সাধারণ।তিনি ১৬টি ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ১৩৬ রান বানিয়েছিলেন এবং বল হাতে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্যাট কামিন্সের কথা বলতে গেলে, তিনি ৫৮ ম্যাচে ১৯.৮১ গড়ে ও ১৪৯.৭১ স্ট্রাইক রেটে তিনি ৫১৫ রান বানিয়েছিলেন এবং ৫৮ ম্যাচে নিয়েছেন ৬৩ উইকেট ও ওভার পিছু ৮.৭৫ রান দিয়েছেন।