CT 2025: লাহোরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) ফাইনালে চলে গেলো নিউজিল্যান্ড। আগামী ৯ তারিখ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেতাবী যুদ্ধে তাদের প্রতিপক্ষ টিম ইন্ডিয়া। সেমিফাইনালের লড়াইতে কিউইদের সুবিধা করে দেয় ব্যাটারদের অনবদ্য পারফর্ম্যান্স। শতরান করেন রচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন। কার্যকরী ক্যামিও এসেছিলো ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপসের ব্যাট থেকেও। প্রতিপক্ষকে ৩৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলো তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের থামতে হয় ৩১২তে। ডেভিড মিলারের ৬৭ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসও যথেষ্ট ছিলো না দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। ইতিপূর্বে দু’টি আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতেছে নিউজিল্যান্ড। দুবারই ফাইনালে তারা হারিয়েছে ভারতকে। পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে রবিবাসরীয় মেগা দ্বৈরথের আগে ফেভারিট হওয়া উচিৎ কিউইদেরই, কিন্তু ম্যাট হেনরির (Matt Henry) চোট খানিক পিছিয়ে রেখেছে তাদের।
Read More: CT 2025 IND vs NZ: ফাইনালে শিকে ছিঁড়লো আর্শদীপ-ঋষভদের ভাগ্যে, প্রকাশ্যে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশ !!
অনিশ্চিত ম্যাট হেনরি-

সেমিফাইনাল চলাকালীন চোট পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা পেসার ম্যাট হেনরি (Matt Henry)। প্রোটিয়া ইনিংসের ২৯তম ওভারে লং অনে ফিল্ডিং করছিলেন তিনি। হেনরিখ ক্লাসেনের ক্যাচ ধরার জন্য বেশ খানিকটা ছুটে এসে সামনের দিকে শরীর ছুঁড়ে দেন। বল তালুবন্দী করলেও কাঁধে চোট পান হেনরি। যন্ত্রণায় মাঠেই শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরে ফিজিও’র সাথে মাঠও ছাড়তে হয় তাঁকে। পরে ফিরে এসে দুই ওভার বোলিং করেন। কিন্তু চেনা ছন্দে দেখা যায় নি তাঁকে। যন্ত্রণা স্পষ্টই বোঝা গিয়েছিলো শরীরী ভাষাতে। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (CT 2025) সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। যদি ফাইনালে খেলতে না পারেন তা যে নিউজিল্যান্ডের জন্য বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য। জেকব ডাফি, বেন সিয়ার্স’রা থাকলেও এই মুহূর্তে কিউই শিবিরে হেনরির অভিজ্ঞতার আক্ষরিক অর্থেই কোনো বিকল্প নেই।
ফাইনালে হেনরি’কে (Matt Henry) পাওয়ার ব্যাপারে যদিও আশাবাদী নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “ম্যাট হেনরি’র কাঁধ কেমন আছে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে। এখন অবশ হয়ে রয়েছে জায়গাটা। দুই দিন যাক, তারপর বোঝা যাবে।” ফাইনালে ওঠার জন্য সতীর্থদের ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন স্যান্টনার। টিমওয়ার্কেই মিলেছে সাফল্য, মন্তব্য তাঁর। জানান, “আমরা মাঝের ওভারগুলোতে নিয়মিত উইকেট নিতে পেরেছিলাম যেটা প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করেছিলো। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়েই নিজেদের মধে আলোচনা করি। গত ম্যাচে মাইকেল ব্রেসওয়েল চারটে উইকেট নিয়েছিলো। আজ আমি নিজে তিনটে উইকেট পাওয়ায় ভালো লাগছে। আমাদের চারজন অলরাউন্ডার রয়েছে, যারা ব্যাটিং-এর পাশাপাশি স্পিন-এ পারদর্শী। আমার কাজটা এতে সহজ হয়ে যায়।”
স্পিনই অস্ত্র হতে পারে দুই শিবিরের-

লাহোরের মত ব্যাটিং বান্ধব নয় দুবাইয়ের পিচ। বরং বেশ মন্থর তা। বল বাইশ গজে পড়ার পর ব্যাটে আসতে বাড়তি সময় নেয়, ফলে বড় শট খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে রবিবারের ফাইনালে স্পিনের উপরেই আস্থা রাখতে পারে দুই শিবির। ভারত ইতিমধ্যেই চার স্পিনারকে প্রথম একাদশে জায়গা দিয়েছে। খেতাবী যুদ্ধেও বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজাকে দেখা যাবে একাদশে। পিছিয়ে থাকবেন না কিউই কোচ গ্যারি স্টেড’ও। তিনিও ট্রফি জিততে আস্থা রাখতে পারেন স্পিন অস্ত্রের উপরেই। অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার থাকবেন। পাশাপাশি মাইকেল ব্রেওসওয়েল, গ্লেন ফিলিপস ও রচিন রবীন্দ্রকেও দুবাইতে হাত ঘোরাতে দেখা যেতে পারে। পেসার হিসেবে থাকছেন উইলিয়াম ও’রোর্ক ও কাইল জেমিসন। হেনরি যদি একান্তই না খেলতে পারেন তাহলে বেন সিয়ার্স’কে সুযোগ দেওয়া হতে পারে একাদশে।