ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন কিছুদিন আগেই। একদিনের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনাও ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসছে শিখর ধাওয়ানের। শুভমান গিলের ব্যাটে ধারাবাহিক রান আসায় একদিনের ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে প্রথম পছন্দের জায়গা হারিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট কেরিয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লেও ব্যক্তিগত জীবনে খানিক স্বস্তি পেলেন ‘গব্বর।’ পাতিয়ালা হাউস কোর্টে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে শিখর ধাওয়ান ও আয়েষা মুখার্জির। সেখানেই ধাওয়ানের প্রাক্তন স্ত্রী’কে সতর্ক করলো মহামান্য আদালত। ভবিষ্যতে ক্রিকেট তারকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনতে বারণ করা হলো আয়েষাকে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যেম ধাওয়ানকে নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকেও আয়েষাকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন শিখর (Shikhar Dhawan) আদালতকে জানিয়েছিলেন যে আয়েষা বিভিন্ন মহলে তাঁর নামে অপমানজনক নানা কথা বলে বেড়াচ্ছেন। এমনকি ক্রিকেট পরিসরের অনেকের কাছেও অনেক আপত্তিজনক মন্তব্য তিনি করেছেন বলে জানান শিখর। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের সতর্কবাণী।
দাম্পত্যে ইতি টেনেছেন শিখর ধাওয়ান ও আয়েষা-

বেশ কিছুদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১২ সালে শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ানিবাসী আয়েষা মুখোপাধ্যায়ের (Ayesha Mukherjee) সাথে।তাদের জোরাভার নামে একটি পুত্রসন্তান’ও রয়েছে। ২০২০ সাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধাওয়ান ও আয়েষার অনুরাগীরা লক্ষ্য করতে শুরু করেন যে আলাদা রয়েছেন দু’জনে। ২০২১ সালে শিখর ও আয়েষা নিজেদের নয় বছরের দাম্পত্যজীবনে ইতি টানেন। শিখর ও আয়েষা দু’জনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান সেই কথা। এরপর থেকেই আদালতে চলছে ডিভোর্সের মামলা। শিখরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে আরও একবার বিবাহ করেছিলেন আয়েষা। তাঁর আরও দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। শিখর (Shikhar Dhawan) ও আয়েষার বিচ্ছেদের পর তাঁদের পুত্র জোরাভার বর্তমানে মায়ের কাছে অস্ট্রেলিয়াতে থাকে।
কড়া ভাষায় আয়েষাকে সতর্ক করলেন বিচারপতি-

পাতিয়ালা হাউস কোর্টের মহামান্য বিচারপতি হরিশ কুমার (Harish Kumar) আয়েষাকে (Ayesha Mukherjee) সতর্ক করে দিয়ে বলেন ভবিষ্যতে ক্রিকেটারের চরিত্রহনন হয়,এমন কোনো তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে তিনি যেন না ছড়ান। ইতিপূর্বে শিখরের (Shikhar Dhawan) আইনজীবী আমান হিঙ্গোরানি মহামান্য আদালত’কে জানিয়েছিলেন যে আয়েষা তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। শিখরের চরিত্রহনন হতে পারে এমন বেশ কিছু মেসেজ তিনি পরিচিতজন, এমনকি ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনকে পাঠিয়েছেন। এতে পেশাগত জগতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিখরকে। এমনকি ভরণপোষণের জন্য আয়েষাকে (Ayesha Mukherjee) কোনো অর্থ দেন না শিখর, তাঁকে নাকি মেয়ের বয়ফ্রেন্ডের থেকে টাকা ধার করতে হচ্ছে, এমন কথাও পরিচিতজনদের শুনিয়েছেন আয়েষা। এর কোনো ভিত্তি নেই বলে শিখরের (Shikhar Dhawan) আইনজীবীর তরফে দাবী করা হয়। গোটা ঘটনা শুনে মহামান্য বিচারপতি হরিশ কুমার জানান, “মর্যাদা একজন মানুষের সবচেয়ে কাছের সম্পদ। সম্পত্তি তো ফিরে পাওয়া যায় কিন্তু একবার জনমানসে মর্যাদা হারালে তা পুনরুদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেই জন্যই এটা রক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো আইনী অভিযোগ থাকে তবে সেটা জানানো তাঁর অধিকার ঠিকই। তবে তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে, সেইখানে অভিযোগ জানানোই শ্রেয়।”