যত কাণ্ড সিএবি-তে (CAB)। আগামী সেপ্টেম্বরে রয়েছে রাজ্য ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সাধারণ বার্ষিক সভা। তা যত এগিয়ে আসছে ততই যেন ঘনাচ্ছে বিতর্কের মেঘ। জমা পড়ছে একের পর এক আইনি চিঠি। দিনকয়েক আগে সিএবি-র যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস ও কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মারাত্মক অভিযোগ জমা পড়েছিলো রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার অম্বুডসম্যানের কাছে। রবিবার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে আরেক সিএবি (CAB) কর্তা অম্বরীশ মিত্রের বিরুদ্ধেও। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই নিশানায় অ্যাপেক্স কাউন্সিলের আরেক সদস্য। নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে মহাদেব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
Read More: “দেশের লজ্জা হয়ে উঠো না…” বেফাঁস মন্তব্য আফ্রিদি’র, ভারত-পাক ম্যাচ বাতিল প্রসঙ্গে মুখ খুলেন পাক প্রাক্তনী !!
সিএবি’র নিয়মে বলা রয়েছে যে কোনো সরকারী কর্মচারী যদি স্পোর্টস কোটায় চাকরি পেয়ে থাকেন একমাত্র তাহলেই তিনি অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য অথবা সিএবি’র অন্য কোনো পদে বসতে পারেন। নিয়োগের সময় মহাদেব চক্রবর্তী এই নিয়ম মেনেছেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে একটি আইনি চিঠি গত রবিবার জমা পড়েছে সিএবি-তে (CAB)। মনোনয়নের সময় হলফনামায় মহাদেব সঠিক নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন কিনা তাও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন, দাবী করেছেন ঐ চিঠির প্রেরক। আপাতত যাতে মহাদেব’কে সিএবি-র (CAB) কাজকর্ম থেকে দূরে রাখা হয় সেই অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই মহাদেব চক্রবর্তী অবশ্য সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে চান নি।
প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিষ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Snehasish Ganguly)। তিনিও বল ঠেলেছেন অম্বুডসম্যানের কোর্টেই। জানান, “এটা নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। একটা চিঠি জমা পড়েছে। এটা অম্বুডসম্যানের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি আমরা। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা অম্বুডসম্যান’ই নেবেন।” শেষমেশ মহাদেব বা অনিয়মে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের তরফে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা সেদিকে এখন তাকিয়ে রাজ্যের ক্রিকেটমহল। তবে সাধারণ বার্ষিক সভার ঠিক আগে একের পর এক পত্রবোমা যে সংস্থার ভাবমূর্তির জন্য ভালো বিজ্ঞাপন নয় তা মানছেন সকলেই।