ইংল্যান্ড আর ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের আতিথেয়তায় সম্প্রতিই শেষ হওয়া আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯এ বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে ভারতীয় দলকে সবচেয়ে প্রবল দাবীদার হিসেবে পেশ করা হয়েছিল। ভারতীয় দলকে শুরু থেকেই খেতাব জেতার তালিকায় সবার আগে রাখা হয়েছিল, কিন্তু টিম ইণ্ডিয়া সেমিফাইনালে সমর্থকদের হৃদয় ভেঙে দেয়।
বিরাট কোহলিকে মানা হয়েছিল বিশ্বকাপের হারের সবচেয়ে বড়ো দায়ী
ভারতীয় দলকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যাণ্ডের হাতে ১৮ রানে হারের মুখে পড়তে হয় যার ফলে ভারতীয় দলের তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বড়ো ধাক্কা খার আর সমর্থকরা নিরাশ হয়ে পড়েন। বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোম্পানির এই হারের পর প্রত্যেকেই নিজের তরফ থেকে হারের কারণ জানার চেষ্টা করেন, যারমধ্যে বেশকিছু মানুষ ভারতীয় দলের অধিনায়ককে বিরাট কোহলিকে সবচেয়ে বেশি দায়ী মনে করেছিলেন।
সিওএ বিনোদ রায় কোহলিকে হারের দায়ী মনে করাকে বললেন ভুল
বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের হারের জন্য বিরাট কোহলিকে দায়ী করা মানুষদের তালিকা ভীষণই লম্বা। এমনিতে এই বিষয়টে বিশ্বকাপের কিছুদিন পরেই শান্ত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আরো একবার আবারো সিওএ বিনোদা রায়ের একটি বয়ান এটা তাজা করে দিয়েছে। সিওএ বিনোদ রায় পরিস্কার ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে হারের দায় মানতে অস্বীকার করেছেন। বিনোদ রায় বলেন যে,
“চেক আর ব্যালেন্স রাখা ভাল। যখন কোনো দল খারাপ প্রদর্শন করে তো আমার মনে হয় না যে সেটা কেবল অধিনায়কের দায়িত্ব। বিশ্বকাপে হারের জন্য বিরাট কোহলিকে দায়ী করা ভুল হবে”।
বিনোদ রায় অনিল কুম্বলে-বিরাট কোহলি মতভেদে দিলেন চমকে দেওয়ার মত বয়ান
বিনোদ রায়ের কাছে এছাড়াও যখন এটা জিজ্ঞাসা করা হয় যে রবি শাস্ত্রীকে দ্বিতীয়বার কোচ হিসেবে বিরাট কোহলির রায়ে নির্বাচিত করা হয়েছে তো তিনি পরিস্কার বলেছেন যে ভারতীয় দলের অধিনায়কের প্রত্যেক বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি রয়েছে। অনিল কুম্বলে আর বিরাট কোহলির মধ্যে ২০১৭য় হওয়া মতভেদের পর কোচ অনিল কুম্বলের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানার প্রশ্নে বিনোদ রায় বলেন,
“আমরা ৩০ জানুয়ারী ২০১৭য় কার্যভার সামলেছিলাম। এপ্রিলে যখন আমরা আইপিএল মরশুমের প্রথম ম্যাচের জন্য হায়দ্রাবাদে ছিলাম তো কুম্বলের চুক্তি আমার আগে হয়েছিল। কুম্বলের চুক্তি বা কোচ হিসেবে নির্বচন দু বছরের সময় পর্যন্ত ছিল। তখন নির্বাচিত ব্যক্তি কোনো পক্ষ পায়নি। এই কারণে কুম্বলের নির্বাচন করা হয়েছিল কিন্তু তাকে কেবল এক বছরেরই কার্যকাল দেওয়া হয়েছিল। কুম্বলের চুক্তি বাড়ানোর কোনো খন্ড ছিল না। আর যখন বিষয়টা সামনে আসে তখন ওই ড্রেসিংরুমে কি হয়েছে এ ব্যাপারে অতটা জানা ছিল না। যদি আমাদের কুম্বলের কার্যকাল বাড়ানোর হত তো আমরা এটা কিভাবে করতাম? আমি একটা বিস্তারের পক্ষে ছিলাম যদি কেউ এটা নির্বাচন কমিটি দ্বারা উচিৎ পাওয়া যেত। আমি বলেছিলাম প্লিজ এই প্রক্রিয়ার পালন করুন”।