Team India: ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্বিতীয় ভারতীয় পেসার হিসাবে দশটি টেস্ট উইকেট নিজের নামে করে নিয়েছেন ভারতীয় দলের তারকা পেসার আকাশ দীপ (Akash Deep)। রোববার ভারত (Team India) ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে পঞ্চম টেস্টটি খেলেছিল সেই টেস্টে আকাশ দীপ একটি অসাধারণ বোলিং প্রদর্শন দেখিয়েছিলেন। আকাশ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত হওয়া দ্বিতীয় টেস্টটি ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়ে এনেছে। প্রথম ইনিংসে মোট চারটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ছয়টি মোট দশটি উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন আকাশ দীপ। পিচে বোলারদের জন্য বিন্দুমাত্র কোনো সুবিধা না থাকার পরেও দশ উইকেট তুলে নিতে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন আকাশ দীপ (Akash Deep)।
ইংল্যান্ডে ইতিহাস রচনা আকাশ দীপের

এবার, বাংলার আকাশ দীপের ইংল্যান্ডের মাটিতে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর তাকে বেশ সাধুবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় দলের (Team India) প্রাক্তন কিংবদন্তি পেসার ও প্রাক্তন ভারতীয় মুখ্য নির্বাচক চেতন শর্মা (Chetan Sharma)। এই টেস্টে চেতনের গড়া ইনিংস ভেঙেছিলেন আকাশ। আসলে, তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো টেস্টে ১০ উইকেট তুলেছেন। বিগত উনচল্লিশ বছর ধরে রেকর্ড ও পরিসংখ্যান অক্ষত থাকার পর রোববার অবশেষে ভেঙে গেল। যা, ভাঙলেন বাংলার আকাশ দীপ (Akash Deep)। সোমবার নয়াদিল্লিতে আকাশ দীপের বেশ প্রশংসা করেছেন চেতন।
Read More: ৬,৬,৬,৬,৬,৬,৬… ৩০টি চার ও ২৯টি ছক্কায় ৩৫৫ রানের ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়লেন বৈভব সূর্যবংশী !!
আকাশ দীপ যখন এই কীর্তিমান রচনা করেন তখন ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন চেতন। আকাশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “যখন আকাশ দীপ দশ উইকেট নিয়েছিলেন তখন আমি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ও যখন পাঁচ উইকেট পেয়েছিল তখন ভিতরে ভিতরে একটা আলাদাই উত্তেজনা কাজ করছিল। ৮৬’ সালের পর এই প্রথমবার ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে অনেকবার গিয়েছে ভারত। তবে এই প্রথম কেউ ১০ উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন।বারবার মনে হচ্ছিল, আকাশকে যেন এত কাছে এসেও সেই মহাকীর্তি অধরা রেখে ফিরে না যেতে হয়। যতক্ষন আমি এসব বাছিলাম ততক্ষনে আকাশের বলে সিরাজ একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন। তখন মনে হচ্ছিল, ওর (আকাশ দীপ) ভাগ্য হয়তো আজ ওর সাথে নেই। বিষয়টা বেশ খারাপও লাগছিল। তবে এবার একবার ক্যাচ তোলেন ব্রাইডন কার্স। এবার সেই ক্যাচ ধরতে ভুল করেনি শুভমান গিল।“
চেতন শর্মা আরও বলেন, “দশ উইকেট ? হ্যাঁ বিষয়টা ভাবলেও কেমন গা শিরশির করে, তাই না? দেখুন আমরা যারা বোলার আমাদের প্রথম টার্গেট হলো পাঁচ উইকেট নেওয়ার। পাঁচ উইকেট পাওয়ার পরই আমাদের টার্গেট থাকে ১০ উইকেটের পিছনে দৌড়ানো। আমার মতে আন্তর্জাতিক মাত্রায় ১০ উইকেট পাওয়াটা গর্বের এবং প্রতিটি বোলারের নামের পাশে অন্তত একটা করে দশ উইকেটের কীর্তি থাকা উচিত। টেস্ট ক্রিকেটে যদি আপনি সেঞ্চুরি করেন, অথবা দশ উইকেট নেন তাহলে মানুষ আপনাকে মনে রাখবে। আমরা দেশের জন্যই তো খেলি, কার ইচ্ছা হয়না দেশের জন্য এমন গর্বের মুহূর্ত তৈরি করতে ?
পরবর্তী শামিকে খুঁজে পেলেন চেতন

এখানেই থেমে থাকেননি চেতন। আকাশের (Akash Deep) প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, “এজবাস্টনে আকাশ যা বোলিং করেছে, এক কথায় অসাধারণ। ৩৯ বছর পর কেউ আমার রেকর্ড স্পর্শ করলো, বলাই ভালো যে টপকে গিয়েছেন। আকাশের বোলিং দেখে আমার মহম্মদ সামকে কথা মনে পড়ে গেল। আকাশ পরবর্তী শামি হতে পারেন, আন্তর্জাতিক মাত্রায় ভালো বোলার হতে যেগুলো প্রয়োজন সব রয়েছে তাঁর মধ্যে। এই সিরিজে এখনও তিনটি ম্যাচ বাঁকি, আশা করি তিনি আরও ১০ উইকেট নিক। আমরা যদি শেষ তিন টেস্টে ২০ উইকেট নিতে পারি তাহলে নিঃসন্দেহে বলতে পারি আমরা সিরিজ জিততে চলেছি।“