বিতর্ক যেন পিছু ছাড়তে চায়না বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। আইনি বিপাকে জড়িয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ (Taskin Ahmed)। বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পেসারদের একজন হলেন তাসকিন। বাংলাদেশি তারকা পেসার তাসকিন আহমেদের নামে বন্ধুর উপর মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিফাতুর রহমান সৌরভ নামে এক ব্যক্তি মিরপুর মডেল থানায় তাসকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সোমবার। তবে, বিতর্কের মুখে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাসকিন।
সমস্যায় বাংলাদেশি পেসার

তাসকিনের বিরুদ্ধে ঘুষি মারা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বন্ধু সিফাতুর। সূত্রের দাবি, রবিবার রাতে ঢাকার সনি সিনেমা হলের সামনে সিফাতুরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তাসকিন। আর তখনই বন্ধু সিফাতুরকে মারধর করেন এবং হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাসকিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের কথা জানিয়েছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সাজ্জাদুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন নে তাসকিন তাঁর বন্ধুকে সিনেমা হলের সামনে ডেকে তাকে মারেন। তিনি আরও জানান, “তাসকিন আহমেদ তাঁর বন্ধু সিফাতুর রহমান সৌরভকে সিনেমা হলের সামনে ডাকেন এবং সেখানে সিফাতুরকে মেরেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।”
Read More: IND vs ENG: “গম্ভীরের জন্য আমার পরামর্শ…” ওভালে ইংল্যান্ড বধের ফর্মূলা জানিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় !!
অন্যদিকে, বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদ এই অস্বীকার অস্বীকার করেছেন এবং এই অভিযোগ অসত্য ও বাড়িয়ে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাসকিনের এই বিষয়টি অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অজানা এমনটা নয়। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তিনি জানিয়েছেন, “তাসকিন আহমেদ যদি অপরাধী প্রমান হয় তাহলে তাকে কিছু বলা যেতে পারে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত তো চলছে। এটা ক্রিকেট বোর্ডের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। আবার তাসকিন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আমরা অবশ্যই পুলিশি তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করব।”
অভিযোগ অস্বীকার করলেন তাসকিন

অন্যদিকে, তাসকিন সমাজ মাধ্যমে তাকে নিয়ে গুজব ছড়াতে বারণ করেছেন এবং জানিয়েছেন, “সবাইকে অনুরোধ, গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না, সমাজ মাধ্যম জুড়ে আমি যে আমার বন্ধুর গায়ে হাত দিয়েছি তা নিয়ে বেশ বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয় এসব গুজবে কান না দেওয়ায় ভালো। এটা আমার, আমার পরিবার ও আমার বন্ধুর জন্য সম্মানজনক নয়। যে কিছু ঘটেছে তা নিয়ে আমার ও আমার বন্ধুর মধ্যে কথা হয়েছে। বিষয়টা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে কোনো ভাবেই এমনটি হওয়া উচিত ছিল না। একটাই কথা বলতে চাই বিষয়টির বাস্তবতা ভিন্ন।”