আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন রয়েছে সিএবি’তে (CAB)। তার আগে বিতর্কের আগুনে পুড়ছে রাজ্য ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। দিনকয়েক আগে আঙুল উঠেছিলো যুগ্ম-সচিব দেবব্রত দাসের (Debabrata Das) দিকে। আর্থিক কারচুপি করেছেন তিনি, জমা পড়েছিলো অভিযোগ। গত ৬ অগস্ট অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে শোকজ করা হয় তাঁকে। পনেরো দিনের মধ্যে টিকিটের বকেয়া অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই শোকজের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেন নি তিনি। বৃহস্পতিবার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বাড়তি কিছুদিন সময় চান দেবব্রত (Debabrata Das)। তা দেওয়া সম্ভব নয়, স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি নিলম্বিত’ও হয়েছেন তিনি।
Read More: এই ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি পাকা করলো রাজস্থান, পুরোনো দলেই ফিরছেন সঞ্জু স্যামসন !!
সাসপেন্ড হয়েছেন দেবব্রত দাস-

আগামী ছয় মাসের মধ্যে আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত যাবতীয় তদন্ত শেষ করতে হবে, গতকালের বৈঠকের শেষে জানানো হয়েছে সিএবি’র (CAB) তরফে। এই সময়ে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কোনো কার্যকলাপে বা পদে থাকতে পারবেন না দেবব্রত দাস। আগামী ২৩ তারিখে ফের বৈঠক রয়েছে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের। সেখানেও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে। দেবব্রত একা নন, আর্থিক অনিয়মের দায়ে কাঠগড়ায় কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী, সিএবি’র সাথে জড়িত অম্বরীশ মিত্র’ও। উয়াড়ি ক্লাব থেকে নিজের নামে টাকা তুলেছেন প্রবীর, উঠেছিলো অভিযোগ। ক্লাবের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে তাতে মাথা গলায় নি সিএবি। কিন্তু আপাতত উয়াড়িকে অনুদান দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। অম্বরীশের (Ambarish Mitra) বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য তুলে নিয়েছেন অভিযোগকারী।
অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সিএবি অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য মহাদেব চক্রবর্তীর (Mahadav Charkrabarty) বিরুদ্ধেও। সিএবি’র নিয়ম অনুযায়ী একমাত্র স্পোর্টস কোটায় চাকরি পাওয়া সরকারী কর্মচারীরাই সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হওয়া বা অন্য কোনো পদে আসীন হতে পারেন। নিয়োগের সময় মহাদেব চক্রবর্তী আদৌ এন নিয়ম মেনেছেন কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করে একটি আইনি চিঠি গত ২০ জুলাই জমা পড়েছিলো সিএবি’তে। মনোনয়নের সময় যখন হলফনামা জমা দিয়েছিলেন মহাদেব, তখন তাঁর নথিপত্র সঠিক ছিলো কিনা তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন, দাবী করেন ঐ চিঠির প্রেরক। আপাতত তাঁকে সিএবি’র যাবতীয় কাজর্ম থেকে দূরে রাখারও অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিলো সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে (Snehasish Ganguly)। “যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা অম্বুডসম্যান’ই নেবেন,” জানিয়েছিলেন তিনি।
সিএবি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন সৌরভ-

২০১৫ সালে জগমোহন ডালমিয়ার প্রয়াণের পর প্রথমবার সিএবি’র (CAB) প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। ২০১৯ অবধি সামলান দায়িত্ব। এরপর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ছেড়ে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছিলেন তিনি। বিসিসিআই সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। ২০২২-এর অক্টোবরে মেয়াদ ফুরিয়েছিলো তাঁর। ফের সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে ফিরতে পারেন মহারাজ, তখনই শোনা গিয়েছিলো গুঞ্জন। কিন্তু সেবার রাজ্য সংস্থায় নির্বাচন হয় নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় প্রেসিডেন্ট হতে চান নি সৌরভ (Sourav Ganguly)। পদ ছেড়ে দেন দাদা স্নেহাশিস’কে। ২০২৫-এ ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে চান, দিনকয়েক আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক স্বয়ং। নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে কেউ দাঁড়ান কিনা সে দিকে নজর থাকবে বাংলার ক্রিকেটমহলের।
Also Read: মুরলিধররন বা আশ্বিন নন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই ব্যর্থ তারকাকে নিজের গুরু বলে চমক দিলেন মেহেদী হাসান !!