অভিষেকের সময় থেকে ক্যারিয়ার নিয়ে কখনও ভাবতে হয়নি বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। তবে, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সিরিজে একাধিক বার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে আউট হতে হয়েছিল বারবার। ২০১৪ সাল থেকে ১০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে তবুও অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে উইকেট হারানোর প্রবণতা এখনও কমেনি। সদ্য অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বার বার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। যে কোনও বোলার তাঁকে আউট করছিলেন এই ধরনের বল করে। অস্ট্রেলিয়া সফরে স্কট বোল্যান্ড (Scott Boland) বিরাটকে বারংবার আউট করেছিলেন। এবার বিরাটকে আউট করার গুরুমন্ত্র দিলেন এক বাস ড্রাইভার।
বিরাট কোহলিকে আউট করলেন হিমাংশু
অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যার্থ হওয়ার পর বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে দেখা গিয়েছিল। রঞ্জি খেলতে নামা বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) আউট করার জন্য অফ স্টাম্পের বাইরে বোলিং করার পরামর্শ পেয়েছিলেন রেলওয়েজ দলের বোলার হিমাংশু সাঙ্গওয়ান। আর তাকে সেই উপদেশ দিয়েছিলেন এক বাসচালক। রঞ্জিতে বিরাটকে আউট করে কেবলমাত্র ১৫ বল সময় নিয়েছিলেন রেলওয়েজের বোলাররা। তবে বিরাট কোহলিকে আউট করার পর মুখ খুললেন রেলওয়েজের পেসার হিমাংশু। মন্তব্য করে তিনি বললেন, “আমি রেলওয়েজের প্রধান পেসার। দলের সকলেই বলেছিল যে তারাই কোহলির উইকেট নেবে। আমরা যে বাসে করে হোটেল থেকে মাঠে আসছিলাম, সেই বাসচালক আমাকে বলেছিলেন, বিরাট কোহলিকে চতুর্থ বা পঞ্চম স্টাম্পে বোলিং করতে। আমি নিজের শক্তি অনুযায়ী বোলিং করেছিলাম এবং নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। তাতেই তাঁর উইকেট পেয়েছিলাম।
Read More: ইংল্যান্ড বিরুদ্ধে ODI দল ঘোষণা করলো ভারত, বাদ পড়লেন টি-20 সিরিজ খেলা ১০ সদস্য !!
বাস চালকের পরামর্শে বিরাটকে আউট করেন হিমাংশু
হিমাংশুর দাবি যে তাঁরা আদেও জানতেন না দিল্লি ও রেলওয়েজের ম্যাচটি লাইভ দেখানো হবে। সেই প্রসঙ্গে হিমাংশু বলেন, “আমরা জানতে পেরেছিলাম আমাদের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি এবং ঋষভ পন্থ খেলবেন। তবে সেটি সরাসরি সম্প্রচার হবে তা আমরা জানতাম না পরে জানতে পারি পন্থ খেলবেন না কিন্তু বিরাট কোহলি খেলবেন তাই ম্যাচটি সরাসরি দেখানো হবে।” কোহলিকে আউট করার পর খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন হিমাংশু। বিরাটের উইকেট নিয়ে মন্তব্য করে হিমাংশু বলেন, “বিরাট আমাকে যে বলটিতে চার মারতে বলেছিল সেটাই আমাকে তাতিয়ে দিয়েছিল। পরের বলটা আমি ব্যাক স্পিন করেছিলাম। আমি মোহম্মদ শামিকে ওরকম ধরণের বল করতে দেখেছি। সেটাই প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করেছিলাম। দেখবেন বলটা মাটিতে পরেই সোজা চলে যাচ্ছিল এবং ব্যাটের কাছে গিয়েও সেটি ভিতরে ঢুকে যায়। সে কারণে ব্যাট আর পায়ের মাঝখান দিয়ে গিয়ে উইকেট ভেঙে দেয়।”