আবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন সাবেক বাংলাদেশি অধিনায়ক শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে শেয়ার বাজারে কারচুপি করার অভিযোগ। দেশের হয়ে আর শাকিবকে খেলতে দেখা যাচ্ছে না, ভারতের বিরুদ্ধে শেষবার টেস্ট সিরিজে শাকিব কে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। বাংলাদেশে হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই শাকিবের পক্ষে দেশে ফেরা ও দেশের দলে খেলা মুশকিল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। তবে, এখনও পাকাপাকি ভাবে সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেননি। ২০২৪ সালে নভেম্বর মাস নাগাদ শাকিবকে কোন প্রতিযোগিতা মূলক খেলায় দেখা গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আগে ভুয়ো বোলিং অ্যাকশানেরও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও, পরে তিনি আবার ক্রিকেট খেলার ও বোলিং করার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছিলেন।
শাকিবের নামে উঠলো বড় অভিযোগ

এবার শেয়ার বাজারে কারচুপির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (BHC) তাঁকে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২.২৬ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। BHC- এর এপ্রিল মাসের এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন রিপোর্টে বলা হয়েছে, শাকিব-আল হাসান সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে এবং সবাইকে ধরে প্রায় ২৯ কোটি টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোনালি পেপার শেয়ারের দাম দুই দফায় কারসাজির কারণে এই জরিমানার সাজা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ অক্টোবর এবং ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল কারসাজির সময়কাল।
সূত্রের দাবি, এই সময়ের মধ্যে ব্যাপক লাভ করে সোনালি পেপার শেয়ার। এর দাম প্রায় ১২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায় যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৫৭.৭০ টাকাকে পৌঁছায়। জানা গিয়েছে, এই শেয়ারে বিনিয়োগ করেই শাকিব আল হাসান সহ ১৩ জন নাকি বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৩.৬৩ কোটি টাকা রিয়েলাইজড মুনাফা অর্জন করেছিল। পাশাপাশি, বাড়তি ৫৫ কোটি টাকা আন-রিয়ালাইজড মুনাফা করেছে তারা।
কারচুপির জন্য দিতে হবে কোটি টাকা জরিমানা

BHC- এর তদন্তের পর জানা গিয়েছে, অনেকে মিলেই সিকিউরিটিস আইন লঙ্ঘন করে শেয়ারমূল্য কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল যা আইনত অপরাধ। এমনকি শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য তৈরি হয়েছিল সিন্ডিকেটও। খবর প্রকাশ্যে আছে শাকিব আল হাসানকে নিয়ে তোলপাড় বাংলাদেশ, আপাতত দীর্ঘ এক বছর দেশের বাইরে রয়েছেন শাকিব। হাসিনা সরকারের পতনের পর ঘরে ফেরা সম্ভব হয়নি তার। পাশাপাশি একের পর এক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে খবরে শিরোনামে উঠে এসেছে শাকিব। শাকিবের পক্ষে আবুল খায়ের হিরু মন্তব্য করে বলেন, “অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পুরো বিষয়টি না জেনেই ঘটেছে। ভবিষ্যতে শেয়ার বাজারে যে কোনো ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”