ক্রিকেট ইতিহাসে এই খেলোয়াড়্র তরফে যে কার্য করা হয়েছে তা এতটাই লজ্জাজনক ছিল যে তার জন্য কোনো শাস্তিই যথেষ্ট নয়। প্রসঙ্গত এই ক্রিকেটার এক মহিলাকে ১০ বছরে ১৫০ বার ধর্ষণ করেছে। এই মামলা সেই সময় সামনে আসে যখন এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয় আর কোর্ট তাকে কড়া শাস্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।
এই ধরণের ঘটনা ঘটনা খেলোয়াড় আর কেউ নন বরং দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড় ডিয়োন টেলজার্ড। টেলজার্ড ডানহাতি জোরে বোলার ছিলেন আর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ এর মধ্যে খেলেছিলেন। এরপর তিনি ব্রিটেন চলে যান।
এই ঘটনা ঘটিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার
৪৭ বছর বয়সী ডিয়োন টেলজার্ড ২০০২ থেকে ২০১২ এর মধ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। প্রথমে তিনি ওই মহিলাকে মারেন এরপর ধর্ষণ করেন। ব্রিটিশ মিডিয়ার মোতাবেক তিনি ওই মহিলাকে বলেন যে তিনি সাহায্য করবেন। ধর্ষণের সময় তিনি মহিলাকে যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য তার গলা টিপতেন, আর তার হাতকে পেছনে ঘুরিয়ে মোচড় দিতেন এর সঙ্গে তার হাতও মুচড়ে দিতেন তিনি।
এইভাবে অত্যাচার সইতে সইতে যখন সীমা পার করে যায় তো একসময় ওই মহিলা আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করেছিলেন। এর মধ্যে যখন টেলাজার্ডের অত্যাচার শেষ হয় তো তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে নিজের যন্ত্রণার ঘটনা পুলিশকে গিয়ে জানান। এরপর টেলজার্ডের উপর কেস চলতে থাকে।
১০ বছরে ১৫০ বার করেছেন ধর্ষণ:
এই মামলার শুনানির সময় যখন জজ মরিস গ্রীন বলেন যে তুমি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রফেশনাল ক্রিকেটার ছিলে, তুমি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন, এতে এটা পরিস্কার যে বেশ কিছু লোক তোমাকে যথেষ্ট মানে। এই অবস্থায় এমন মনে হচ্ছে যে এই পরিস্থিতিতে বিপদ কম করার জন্য সাজার সময় সীমা অনেক। এটা যথেষ্ট গুরুতর অপরাধ আর এর জন্য দীর্ঘ সাজা জরুরী।
কোর্ট শোনাল সাজা, নিজেকে বললেন নির্দোষ
ম্যানচেষ্টারের মিনশন স্ট্রিট কাউন কোর্ট ডিয়োন টেলজার্ডকে ১৯ বার রেপ, দুবার সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট আর হুমকি দেওয়ার অপরাধে দোষী বলে মেনে নিয়েছে। তবে এর মধ্যে এই খেলোয়াড় বারবার নিজেকে নির্দোষ বলে জানিয়েছে। তার দাবি যে মহিলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। তিনি এটাও বলেছেন যে তার বন্ধুরা এই কেস নিয়ে আবারও ভাবনা চিন্তা করার জন্য ক্যাম্পেইন চালিয়েছে কিন্তু কোর্ট তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আর টেলজার্ডের শাস্তি ঘোষণা করেছে।