সম্প্রতি ইংল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করে অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ নিজেদের নামে করে নিলো অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচ থেকেই একতরফা পারফরম্যান্স দেখিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। আর এই সিরিজ চলা কালীন অস্ট্রেলিয়ার বন্ডি বিচে ভয়াবহ এক জঙ্গি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। গত সপ্তাহে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। হামলার এক সপ্তাহ পেরোতেই তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই এবার অযাচিত আক্রমণের শিকার হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার উসমান খোয়াজা (Usman Khawaja)। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে মাত্র ২ রান বানান তিনি, এরপর দ্বিতীয় টেস্টে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। তৃতীয় টেস্টে শেষ মুহূর্তে স্টিভেন স্মিথ বাদ পড়ায় সেখানে উসমান খোয়াজা প্রথম ইনিংসে ৮২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।
দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন উসমান খোয়াজা

তবে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার জেরে খোয়াজাকে বেশ কটাক্ষর মুখোমুখি হতো হয়েছে। জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হওয়ায় সোশাল মিডিয়ায় তাকে ঘিরে ঘৃণামূলক মন্তব্য এবং হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে। শুধু খোয়াজাই নন, রেহাই পাচ্ছে না তার ছোট সন্তানরাও। ৩৯ বছর বয়সি এই বাঁহাতি ওপেনার বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান র্যাচেল ম্যাকলেলানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সম্প্রতি র্যাচেল সোশাল মিডিয়ায় একাধিক আপত্তিকর মন্তব্যের স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানিয়েছেন, খোয়াজাকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেও কটূক্তি করা হচ্ছে, এমনকি শিশুদের বিরুদ্ধেও কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে।
Read More: “আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে…,” অধিনায়কত্ব হারানোর পর মুখ খুললেন রোহিত শর্মা, করলেন এই মন্তব্য !!
হেনস্থার শিকার খোয়াজা পরিবার

তিনি সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, “এই ধরনের বিদ্বেষমূলক আচরণ নতুন মাত্রা নিয়েছে এবং পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।” উল্লেখযোগ্যভাবে, উসমান খোয়াজার জন্ম ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানে। তবে মাত্র চার বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন এবং এখানেই বেড়ে ওঠেন। পরে তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেন। টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাধিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি এবং বর্তমানে তিনি দলের নিয়মিত ওপেনার। বন্ডি বিচের হামলা নিয়ে তদন্তে জানা গেছে, ইহুদি উৎসব চলাকালীন নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় জড়িত ছিল সাজিদ আক্রম ও তার ছেলে নবিদ আক্রম। তারা পাকিস্তানের নাগরিক বা পাক বংশোদ্ভূত বলে দাবি উঠছে। এমনকি, হামলাকারীদের গাড়ি থেকে একটি জঙ্গি সংগঠনের পতাকা উদ্ধার হওয়ার কথাও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।