দীর্ঘ ১৮ বছর বাদে আইপিএল শিরোপা জয় করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এবার আইপিএলের ১৮ তম মৌসুমে প্রথম বারের জন্য আইপিএল শিরোপা নিজেদের নামে করে নিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। রজত পতিদারের নেতৃত্বে এই প্রথম বার ট্রফির মুখ দেখলো বিরাট কোহলি- জিতেশ শর্মারা। তবে, ট্রফি জিতেও সমস্যা এড়াতে পারলো না আরসিবি। প্রথম বার ট্রফি জেতার সুবাদে আরসিবি দল একটি ওপেন বাস প্যারেডের আয়োজন করেছিল। দলের প্রথম জয় উদযাপন করার জন্য মুখিয়ে ছিল ভক্তরা। আর সেই জয় উদযাপন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১ জন সাধারণ মানুষ যারা তাদের দল আরসিবিকে সমর্থন করতে এসেছিল।
কোহলির উপর দায় চাপিয়েছিল কর্ণাটক সরকার

এবার, সেই বেঙ্গালুরু পদপিষ্ট কাণ্ডের সব দায় আরসিবির উপর চাপিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। শুধু তাই নয়, ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলির (Virat Kohli) নাম এই কান্ডের সঙ্গে জুড়েছেন তারা। এবার কংগ্রেসের এই মতামতের বিরোধিতা করলো ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক তথা বিধানসভার উপ বিরোধী দলনেতা অরবিন্দ বেল্লাড মন্তব্য করে বলেছে জয়ের কৃতিত্ব নিতে চেয়ে সরকার যেই বিপাকে পড়লো তখন কোহলির নাম সামনে ঠেলে দিলো।
Read More: “অনুমতি ছিলো না অনুষ্ঠানের…” RCB-কে দোষারোপ কর্ণাটক সরকারের, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ালো কোহলিরও !!
অরবিন্দ বেল্লাড বলছেন, “উদযাপনের জন্য শুধু যে আরসিবির সমর্থক জড়ো করেছিল তেমনটা নয়। খোদ ডিকে শিবকুমার, সরকারি আধিকারিকরা এবং কংগ্রেসও ক্রিকেট ভক্তদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল উদযাপনের অনুষ্ঠানে জড়ো হতে। এমনকি, সরকারি আধিকারিকরা টেলিভিশনে প্রকাশ্যেই সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছিলেন।” অরবিন্দ বেল্লাডের মতে, সরকার চাইলেই ওই সেলিব্রেশন বন্ধ করা যেত।
কোহলির পাশে বিজেপি সরকার

তিনি স্পস্টট দাবি জানিয়েছেন যে, কংগ্রেস সরকার ১৮ বছর পর আরসিবি দল যে প্রথম ট্রফি জিতেছে তাঁর কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল। এখন চাপে পরেই তারা ফ্রাঞ্চাইজিকে দোষ দিচ্ছে। আর বিরাট কোহলির মতন কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে এর জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, হাই কোর্টে পদপিষ্টের ঘটনার রিপোর্ট জমা দিয়েছে কর্নাটক সরকার। প্রাথমিকভাবে সিদ্দারামাইয়ার সরকারের দাবি ছিল যে কর্ণাটক সরকারের প্রকাশ্যে আনা এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে। তবে, হাই কোর্ট এই তদন্তের রিপোর্ট গোপন রাখার কোনও কারণ বা আইনি বৈধতা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছিল। হাই কোর্ট সেই রিপোর্ট জনসমক্ষে এনেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্ণাটক সরকার এই ঘটনার পুরো অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনের ব্যার্থতার কারণ দেখিয়েছে। পাশাপশি, সমস্ত দায় আরসিবির উপরেই চাপানো হয়েছে।
সরকারের দাবি ছিল আরসিবি নাকি পুলিশ বা প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই ট্রফি জয়ের উদযাপনের ডাক দিয়েছিল। সোশাল মিডিয়াতেও সেই নিয়ে পোস্ট করা হয়েছিল। সময় কম থাকতে পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা নিতে পারেনি। আরিসিবির এই আমন্ত্রণ পোস্টে বিরাট কোহলির একটি ক্লিপ ছিল, যেখানে তাকে ভক্তদের আমন্ত্রণ জানাতে দেখা গিয়েছে। বিরাট একজন পরিচিত মুখ এবং বিরাটের ডাকে সাড়া দিয়ে একাধিক ভক্তের সমারহ হয়েছিল। যে কারণে সরকার কোহলিকেও দায়ী করেছিল।