লন্ডনের কেনিংটন ওভালে WTC ফাইনাল ২০২৩ ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের (AUS vs IND) মধ্যে খেলা হয়েছিল যেখানে টিম ইন্ডিয়াকে ২০৯ রানের পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া WTC ট্রফি দখল করলো। গত দুই বছর ধরে টিম ইন্ডিয়া এই ফাইনাল ম্যাচের জন্য কঠোর পরিশ্রম গেল বিফলে। ভারতীয় দলের এই অবস্থার জন্য দায়ী বিসিসিআই (BCCI)। ভারতীয় দলের সিলেক্টররা সিনিয়র প্লেয়ারদের বেশি ব্যাক করে ফেলছে যেকারণে আইসিসির কোনো ট্রফি জয়ের স্বপ্ন হচ্ছে না পূরণ। এরপর ভারতীয় দল উড়ে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (WI VS IND), যেখানে আগামী ১২ জুলাই থেকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে সফর শুরু হবে। এরপর ওখানেই দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একটি সিরিজ খেলবে, টিম ইন্ডিয়া। সম্প্রতি ভারতীয় দল ঘোষণা করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য। আর এই দল দেখে বোঝা গিয়েছে যে বিসিআই চাইলেও বাদ দিতে পারছেন না ৩ প্লেয়ারকে। তবে, BCCI থেকে ঘুষ নেওয়া বন্ধ হয়, ক্যারিয়ার শেষ হবে এই ৩ প্লেয়ারের।
Read More: কোচ হিসেবে এন্ট্রি নিচ্ছেন MS ধোনি, দ্রাবিড়কে বাইরের পথ দেখাচ্ছেন BCCI সেক্রেটারি জয় শাহ !!
১. রোহিত শর্মা
তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আইপিএল চলাকালীন তিনি ফ্লপ প্রমাণিত হয়েছিলেন আর তার ওই বাজে ফর্ম অব্যহত রাখলেন। কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে রোহিত শর্মা ১৫ রান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে ভাবে নিজের উইকেট হারান। ওই ইনিংসে ৬০ বলে ৪৩ রান বানিয়ে নাথান লায়নকে (Nathan Lyon) সুইপ করতে গিয়ে হারান নিজের উইকেট। দলের অধিনায়ক হিসাবে নিজের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন রোহিত।
টেস্ট ক্রিকেটের কথা বলতে, তিনি ৫০ টেস্টে ৪৫.২২ গড়ে ৩৪৩৭ রান বানিয়েছেন এবং তার ঝুলিতে ৯ টি শতরান ও ১৪ টি অর্ধশতরান করেছেন। আর ক্যাপ্টেন হিসাবে, ২০২২ সালে টেস্ট অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর থেকে, রোহিত ৭ টি টেস্ট খেলেছেন। সাতটি টেস্টে, তিনি ৩৯০ রান করেছেন, একটি সেঞ্চুরি সহ ৩৫.৪৫ গড় নিয়ে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তার পারফরমেন্সের উপর প্রভাব পড়েছে। বিসিসিআই এর করুনার কারণে দলে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন রোহিত এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাকে ক্যাপ্টেন হিসাবে দেখা যাবে।
২. জয়দেব উনাদকাট
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জয়দেব উনাদকাট (Jaydev Unadkat)। ২০২২ সালে কাঁধের চোটের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অংশ নিতে পারেন না টিম ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)।এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলে আবির্ভাব ঘটলো জয়দেব উনাদকাটের, ২০১০ সালে ডিসেম্বরেই দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, যিনি যে টেস্ট ম্যাচটি খেলেছিলেন সেখানে তিনি কোনো উইকেট পাননি।
তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ১০১ টি ফাস্ট ক্লাস ম্যাচে পেয়েছেন ৩৮২ টি উইকেট, তার এই দুরন্ত পারদর্শিতা দলে তাকে সুযোগ বানিয়ে দেয়। পাশাপাশি, তিনি অজিদের বিরুদ্ধেও টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু দলে পাননি সুযোগ। আবার একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দলে সুযোগ পেলেন, বিসিসিআই’এর (BCCI) কৃপা না থাকলে তার পক্ষে জাতীয় দলে ঢোকা একেবারেই সহজ হতো না।
৩. কে এস ভরত
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান কে এস ভরত (KS Bharat)। শুধুমাত্র উইকেট কিপিংয়ের জন্য তিনি ভারতীয় দলে রয়েছেন বলে মনে করা হয়। আসলে তার ব্যাটিং একেবারেই জঘন্য। কোনো মতেই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া আসে না, আসলে বেশ কয়েক মাস ধরে চোটের কারণে জাতীয় দলের বাইরে আছেন ঋশভ পন্থ (Rishabh Pant)। যে কারণে, বাধ্য হয়ে দলে ভরতকে সুযোগ দিচ্ছে বিসিসিআই (BCCI)।
যদি তার শেষ ম্যাচ অর্থাৎ WTC ফাইনালের কথা বলতে গেলে, প্রথম ইনিংসে তিনি ৫ রান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এমনকি তার ক্যারিয়ারের কথা বলতে গেলে, মোট ৫ টি টেস্ট খেলেছেন তিনি এবং মাত্র ১৮.৪৩ গড়ে ১২৯ রান বানাতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই ব্যার্থ পারফরমেন্সের পরেও বিসিসিআই তাকে সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে।