বিসিসিআইকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বোর্ডের মধ্যে গুনতি করা হয়। কিন্তু এমনটা মনে হচ্ছে যে বিসিসিআইয়ের ভাবনায় এখনও পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন আসেনি। বোর্ডের ভেতর এখনও ভেদাভেদের মনোভাব বজায় রয়েছে। এমনই একটি ঘটনা এই মুহূর্তে সামনে এসেছে। যার পর বিসিসিআইয়ের দিকে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
করোনা টেস্টের ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের ভেদাভেদ আরও একবার সামনে এসেছে। করোনা টেস্ট নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মহিলা আর পুরুষ দলের মধ্যে করা ভেদাভেদ আর দু-রকমের আচরণের পর যথেষ্ট ছিছি পড়ে গিয়েছে।
করোনা টেস্ট নিয়ে নেওয়া হয়েছে দু রকমের মাপদণ্ড
করোনার কারণে ভারতের মহিলা আর পুরুষ দলের একই বিমানে ইংল্যাণ্ড সফরে যাওয়ার ব্যাপারটি তো বোঝা যায়, কিন্তু করোনা টেস্টের ব্যাপারে আলাদা আলদা নিয়মওয়ালা মাপদণ্ড বোধবুদ্ধির বাইরে। এমন মাপদণ্ড বিসিসিআইয়ের মানসিকতার নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেয়। ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে বিসিসিআই ভারতের মহিলা আর পুরুষ দলকে মুম্বাইয়ে তৈরি হওয়া বায়োবাবলে কোয়ারেন্টিন রাখবে। তবে কোয়ারেন্টিন হওয়া দুই দলের খেলোয়াড়দের জন্য এটা জরুরী যে তারা এর আগে করোনা টেস্টে নেগেটিভ আসবেন যার পরই তাদের বায়ো বাবলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
বিরাটের দলের জন্য বাড়িতে ব্যবস্থা, মহিলা দলকে উপেক্ষা
এই করোনা টেস্টের ব্যাপারে দু রকমের আচরণ প্রকাশ করে বিসিসিআই কী করেছে এই বিষয়টি আমরা আজ আপনাদের এই বিশেষ প্রতিবেদনে জানাব। বিসিসিআই ইংল্যাণ্ড সফরে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত পুরুষ দলের সমস্ত খেলোয়াড়ের বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে তাদের করোনা টেস্ট একবার নয় বরং তিন তিন বার করিয়েছে, অন্যদিকে মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্যদের করোনা টেস্ট নিয়ে তারা পরিষ্কার জানিয়েছে যে মহিলা খেলোয়াড়রা নিজেদের টেস্ট নিজেরাই করাবেন।
বিসিসিআইয়ের তরফে এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে মহিলা আর পুরুষ দুই দলই ১৯ মে পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থাকবে। পুরুষ দলের সমস্ত খেলোয়াড়দের বিসিসিআইয়ের তরফে তাদের বাড়িতেই করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কেনো মহিলা আর পুরুষ দলের মধ্যে ভেদাভেদ
এর মধ্যে তাদের সঙ্গে পুরুষ দলের সঙ্গে যাওয়া তাদের পরিবারের কোনো অন্য সদস্যেরও বিসিসিআইয়ের তরফে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর যখন সমস্ত খেলোয়াড়রা মুম্বাই পৌঁছবেন তো বায়ো বাবলে প্রবেশের আগে তাদের আরও একবার করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বিপরীতে মহিলা দলকে বিসিসিআই নিজেদের ভরসায় ছেড়ে দিয়েছে, যার ফলে বিসিসিআইয়ের দ্বিচারিক মানসিকতাই প্রকাশ পেয়েছে। বিসিসিআই বলেছে যে মহিলা দল নিজেদের পরীক্ষা নিজেরাই করাবে আর রিপোর্ট নিয়ে আসবে। একটি রিপোর্টের মোতাবেক ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া দলের দুই খেলোয়াড় এই ব্যাপারে খোলসা করেছেন।