এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) শুরু হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি আছে। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে মাঠে নেমে পড়েছে ব্লু ব্রিগেডরা। এই টুর্নামেন্টের ট্রফি জয়ের জন্য নতুন করে কৌশল তৈরি করছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। সবদিক থেকে এই দলকে বিসিসিআই (BCCI) সাহায্য করছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী একটি ক্রিকেট সংস্থা। বিসিসিআইয়ের (BCCI) সঙ্গে অসংখ্য জনপ্রিয় কোম্পানি যুক্ত আছেন। বোর্ডের আয়ের অন্যতম উৎস হলো স্পন্সরশিপ। এবার এই বিষয়ে এশিয়া কাপের আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের জন্য বড়ো ধাক্কা সামনে এসেছে।
Read More: “স্বাভাবিকভাবেই ও হতাশ..”, এশিয়া কাপে জায়গা না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শ্রেয়স আইয়ারের বাবা !!
বন্ধ স্পন্সর সংস্থা-

২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ‘ড্রিম ১১’ ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পন্সর। প্রাথমিক চুক্তি অনুসারে এই ফ্যান্টাসি স্পোর্টস সংস্থাটি তিন বছরের জন্য বিসিসিআইয়ের (BCCI) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কিন্ত লোকসভা এবং রাজ্যসভায় “অনলাইন গেমিং প্রচার ও নিয়ন্ত্রণ বিল’ পাস হওয়ার পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেছে। কারণ পাস হওয়া বিল অনুযায়ী ‘ড্রিম ১১’এর মতো সমস্ত ধরণের অনলাইন ফ্যান্টাসি এবং জুয়া প্ল্যাটফর্মগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর ফলে আসন্ন এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) আর ‘ড্রিম ১১’এর লোগো লাগানো জার্সিতে ব্লু ব্রিগেডদের দেখতে পাওয়া যাবে না। এর ফলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়তে পারে ক্রিকেট বোর্ড। উল্লেখ্য সূত্র অনুযায়ী এই ‘ড্রিম ১১’ এখনও পর্যন্ত ৪৫০ মিলিয়ন সাধারণ ব্যবহারকারীদের থেকে ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার টাকা কেড়ে নিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় সরকার এই ধরণের কঠোর বিল চালু করে সমাজকে বার্তা দিলো।
সামনে এলো বিবৃতি-

‘ড্রিম ১১’ নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করে তাদের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে বার্তা দিয়েছে। সেখানে লেখা হয়, “আজ সকালে আমরা সমস্ত ধরণের অর্থের বিনিময়ে প্রতিযোগিতাগুলি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমানে ফ্রি-টু-প্লে অনলাইন সোশ্যাল গেমের দিকে মনোনিবেশ করছি। ১৮ বছর আগে স্পোর্টস টেক কোম্পানি হিসাবে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। ভারতীয়দের আবেগ, বিশ্বাস এবং খেলার প্রতি ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠি।
আমরা সর্বদা আইন মেনে চলা একটি কোম্পানি ছিলাম এবং সব সময় আইন মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করবো। নতুন প্রগতিশীল আইনকে আমরা সঠিক পথ বলে সম্মান করছি।” অন্যদিকে এই বিষয়ে বিসিসিআই (BCCI) সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া (Devajit Saikia) বলেন, “যদি এটা আইন বিরুদ্ধ হয় আমরা তাহলে স্পন্সরশিপ এগিয়ে নিয়ে যাব না। বিসিসিআই কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রণীত প্রতিটি আইন অনুসরণ করবে।”