আইপিএল ২০২০র শুরু হতে এখন খুব বেশি সময় বাকি নেই, এই অবস্থায় বিসিসিআই আর ফ্রেঞ্চাইজিগুলি নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যে বিসিসিআই আর সমস্ত ফ্রেঞ্চাইজির মধ্যে ঝামেলার খবর সামনে এসেছে। আসলে বিসিসিআই আর আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল আইপিএল ২০২০তে ফ্রেঞ্চাইজিগুলিকে তাদের রেভেনিউর ২০ শতাংশ নেওয়ার করা বলেছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে বোর্ড আর ফ্রেঞ্চাইজিগুলির মধ্যে ব্যক্তিগত মতভেদের বিপদ বেড়ে গিয়েছে।
ফ্রেঞ্চাইজিগুলি বিসিসিআইকে দিতে চায়না ২০% অংশ
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের মোতাবেক, বোর্ডের মত যে যদি এই বছর আইপিএল না হতো তো কোনো রোজগার হত না। এই বছর সমস্ত ফ্রেঞ্চাইজি বিসিসআইকে নিজেদের রেভেনিউর ২০ শতাংশ অংশ দেবে। এটা নিয়ে একটি ফ্রেঞ্চাইজি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে বিসিসিআইকে পরামর্শ দিয়েছিল যে বিসিসিআইয়ের ফ্রেঞ্চাইজির রোজগারের ২০ শতাংশ অংশ নেওয়া উচিৎ না, যা তারা প্রত্যেক মরশুমে পাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ। এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের পক্ষের এক সূত্র জানিয়েছেন,
“প্রত্যেক আইপিএল মরশুমে আটটি ফ্রেঞ্চাইজির সবকটির থেকে ২০% বিসিসিআইয়ের সদস্যদের কাছে যার, যা বোর্ডের রাজস্বে অংশ। প্রত্যেক বছর একটি আইপিএল ম্যাচ আয়োজনের জন্য আয়োজন ফিজের মতো ফ্রেঞ্চাইজির থেকে ৫০ লাখ টাকা আর ৫০ লাখ থাকা বিসিসিআইয়ের কাছে পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে প্রত্যেক মরশুমে প্রত্যেকটি আয়োজন স্থল থেকে ৮ কোটি টাকা আর সমস্ত ফ্রেঞ্চাইজির কাছ থেকে ৬৪ কোটি টাকা পাওয়া যায়। এখন যেহেতু এই বছরের সংস্করণ ইউএইতে শিফট হচ্ছে তো রাজস্ব আগেই উইন্ডোর বাইরে রয়েছে, এই কারণে সমস্ত ফ্রেঞ্চাইজিদে সেই ২০ শতাংশ অর্থ আমাদের দেওয়া উচিৎ। কারণ যদি আইপিএল না হতো তো তারা কোনো লাভ পেত না”।
রিপোর্টের মোতাবেক ১৩টি রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে থেকে কেউই এই ভাবনায় অসহমতি প্রকাশ করেনি।
ফ্রেঞ্চাইজিগুলির ২০০ কোটি টাকার বেশি রোজগারের আশা
তো এখন প্রশ্ন এটাই যে এই বছর ফ্রেঞ্চাইজিগুলির কত রোজগার হবে? ৫০টি ব্রডকাস্টারের ৫০ শতাংশ রেভেনিউর সঙ্গে প্রতিটি ফ্রেঞ্চাইজি ২০০ কোটি টাকা, ভিভো ছাড়াও আধিকারিক প্রযোজক, যারা প্রত্যেক মরশুমে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আনেন, যার মানে প্রত্যেকটি ফ্রেঞ্চাইজি ২০০ কোটি টাকার বেশি রোজগার করবে।
করোনার মধ্যেও হবে ১০০ কোটির রোজগার
সেই সঞগেই আইপিএলে ভিভোর জায়গায় এই মরশুমের জন্য টাইটেল স্পনসর খোঁজা হচ্ছে। এমনকি যদি আসন্ন চুক্তি ভিভো দ্বারা দেওয়া টাকার ৫০%ও দেয়, তো এর মানে হলো একটি ফ্রেঞ্চাইজি ২৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত রোজগার করবে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে ওই সূত্র জানিয়েছেন,
“সেই সঙ্গেই এতে জার্সি স্পনসর আর অন্য পার্টনারশিপকে যোগ করা হলে ফ্রেঞ্চাজিগুলি ২৫০ কোটি টাকার বেশি রোজগার করতে চলেছে। খেলোয়াড়দের ফিজ আর পরিচালন মূল্য বাদ দিন, ফ্রেঞ্চাইজিগুলি এখনো একটি মহামারীর মধ্যে ১০০ কোটি টাকার বেশি রোজগার করবে। এখন এর তুলনা তার সঙ্গে করুন যখন এই মরশুমে আইপিএল না হত তো রোজগার কীভাবে হতে পারত?”