২০১৯ সালে বিসিসিআই-এর কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছিলেন অরুণ ধূমল (Arun Dhumal)। ২০২২-এ পান নতুন দায়িত্ব। আইপিএলের (IPL) গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের আসনে বসেন তিনি। আগামী অক্টোবর মাসে মেয়াদ ফুরোচ্ছে তাঁর। চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব পাবেন তিনি? নাকি নতুন কেউ বসবেন সেই আসনে? স্পষ্ট নয় তা। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিলো যে একটানা ছয় বছর বিসিসিআই-এর কোনো পদে থাকার পর অন্তত তিন বছরের বিরতি নিতে হবে কোনো ক্রিকেট প্রশাসক’কে। এই সময়কে বলা হবে কুলিং-অফ পিরিয়ড। সেই সময়কালে ভারতীয় বোর্ডের কোনো পদে থাকতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট প্রশাসক। তবে ধূমলের (Arun Dhumal) ক্ষেত্রে এই কুলিং-অফ পিরিয়ডের ধারণা আদৌ কার্যকর হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তাই তাঁর ভবিষ্যত নিয়েও রয়েই গিয়েছে ধোঁয়াশা।
Read More: “জেতা সম্ভব না…” সাফ জানালেন ভুবনেশ্বর কুমার, এশিয়া কাপের আগে সাড়া জাগানো মন্তব্য তারকা পেসারের !!
IPL চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ ?

২০১৯ থেকে ২০২৫-কোষাধ্যক্ষ ও আইপিএল (IPL) চেয়ারম্যান হিসেবে ছয় বছর বিসিসিআই-এর অন্দরে কাটিয়ে ফেলেছেন অরুণ ধূমল (Arun Dhumal)। লোধা কমিটির সুপারিশ মেনে এবার কুলিং-অফেই যাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু ধূমলের (Arun Dhumal) ক্ষেত্রে সেই নিয়ম আদৌ মানা হবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বোর্ড কর্তারাই। বিসিসিআই-এর সংবিধান অনুসারে কেবল সভাপতি, সচিব ও কোষাধ্যক্ষই পান পদাধিকারীর মর্যাদা। আইপিএল (IPL) গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিসিসিআই-এর পদাধিকারী হিসেবে গণ্য হন না। যেহেতু কোষাধ্যক্ষ পদে মাত্র তিন বছর (২০১৯-২০২২) দায়িত্ব সামলেছেন ধূমল (Arun Dhumal) সেক্ষেত্রে তিনি কুলিং-অফ নীতির আওতায় আসেন না বলে দাবী করছেন অনেকে। চাইলে বোর্ডের কোনো পদে আরও তিন বছর দায়িত্ব সামলাতেই পারেন তিনি, মনে করছেন তাঁরা।
জটিল এই পরিস্থিতি দ্বিধায় ফেলেছে বিসিসিআই কর্তাদেরও। “বিসিসিআই-এর অন্দরে ছয় বছর কাটালে কুলিং-অফ পিরিয়ড বাধ্যতামূলক কিনা সে বিষয়ে আমরা স্বচ্ছতা চাইছি। এখনও অবধি আমাদের ধারণা কুলিং-অফ পিরিয়ড কেবলমাত্র পদাধিকারীদের জন্যই,” নাম গোপন রাখার শর্তে সংবাদসংস্থা ইনসাইডস্পোর্ট’কে জানিয়েছেন এক বোর্ড কর্তা। সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে (TOI) প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে যে অরুণ ধূমলকে (Arun Dhumal) যদি সত্যিই কুলিং-অফ পিরিয়ডে যেতে হয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তী আইপিএল (IPL) চেয়ারম্যান হতে পারেন অনিরুদ্ধ চৌধুরী (Anirush Chaudhry)। ক্রিকেট প্রশাসনে নতুন নন তিনিও। এর আগে সামলেছেন বিসিসিআই-এর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব। ছিলেন হরিয়ানা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (HCA) সচিব পদেও।
দায়িত্ব নেবেন নয়া সভাপতি-

২০২২-এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সরে দাঁড়ানোর পর সভাপতির আসনে বসেছিলেন রজার বিনি (Roger Binny)। ২০২৫-এ মেয়াদ ফুরিয়েছে তাঁর। আপাতত কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজীব শুক্লা। সূত্রের খবর হেভিওয়েট এক প্রাক্তনীকে নাকি দেওয়া হয়েছে সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব। তিনি যদি তা গ্রহণ না করেন সেক্ষেত্রে রাজীব শুক্লাকেই দেওয়া হতে পারে পূর্ণ সময়ের দায়িত্ব। সচিব পদে রদবদলের সম্ভাবনা নেই। ২০১৯ থেকে ২০২৪ অবধি ঐ পদে ছিলেন জয় শাহ। গতবছর আইসিসি’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে ভারতীয় বোর্ডের সচিবের চেয়ারে বসেছেন দেবজিৎ সইকিয়া (Devajit Saikia)। আগামীতেও দায়িত্ব সামলাবেন তিনিই। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নীতির কারণে এই মুহূর্তে স্পন্সরহীন টিম ইন্ডিয়া। নয়া স্পন্সর আনার ক্ষেত্রে দেবজিৎ বড় ভূমিকা নিতে পারেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।