BCCI: এবারের এশিয়া কাপ যেন ক্রিকেটের চেয়ে বেশি বিতর্কে ভরা। এশিয়া কাপের শুরু থেকেই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুখোমুখি না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এবার ভারতের মাটিতেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপ। তবে সেটি UAE’তে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবুও, ভারত ও পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রেখে দেওয়া হয়েছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোর উত্তাপ শুধু মাঠেই নয়, ছড়িয়েছে টুর্নামেন্টের প্রশাসনিক দিকেও। দুই দল এবারের এশিয়া কাপে তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল। এশিয়া কাপের মঞ্চে তিন বারেই ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে পাকিস্তান দল।
ভারতের হাতে ট্রফি তুলে দেয়নি নাকভি

দুই দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সবকিছু শুরু হয়েছিল গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার পর দেখা যায়, সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) সহ বাঁকি ভারতীয় ক্রিকেটার পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি ছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে এখানেই শেষ নয় বিতর্ক গড়ায় আরও গভীরে, একেবারে ফাইনাল পর্যন্ত। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথম বারের জন্য মুখোমুখি হয়েছিল। ফাইনাল খেলা শেষে যখন পুরস্কার বিতরণের পালা, তখন ঘটে বড়সড় নাটক। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) সভাপতি মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকার জানায় ভারতীয় দল।
Read More: ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে রোহিত-বিরাটের ‘কঠোর শাস্তি’, দলে থাকতে হলে করতে হবে এই কাজ !!
মহসিনের উপর ক্ষুব্ধ BCCI

ফলে প্রেজেন্টেশন সেরেমনি-তেই ট্রফি দেওয়া সম্ভব হয়নি। ভারতীয় দল ট্রফি ছাড়াই এশিয়া কাপের জয় উদযাপন করেছিল। ভারত ট্রফি নিতে অস্বীকার জানাতে সেই ট্রফি নাকভি তাঁর সঙ্গে করে নিয়ে চলে গিয়েছিল। এখন সেই ট্রফি পড়ে আছে দুবাইয়ের এসিসি সদর দফতরে। সূত্রের দাবি, নাকভির অনুমতি ছাড়া ট্রফি সরানো বা কারও হাতে দেওয়া যাবে না! বিসিসিআই এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন আইসিসি মিটিংয়ে নাকভির এই আচরণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাতে চলেছে বিসিসিআই। বর্তমানে তিনি আইসিসির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন, আর এই পদ থেকে হয়তো তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “নির্দিষ্ট কারণেই ভারত সেদিন ট্রফিটি সংগ্রহ করেনি। ভারতীয় দলকে ট্রফি দেওয়া ছিল নাকভির দায়িত্ব। তিনি তা না করে উল্টো ট্রফি নিয়ে চলে গেছেন, যেটা কোনো মতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।”