কয়েকদিন আগেই ভারত সরকারের অনলাইন বেটিং অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করার পরেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বিসিসিআইয়ের (BCCI)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের নতুন টাইটেল স্পনসরের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী অনলাইন মানি গেমিং সংস্থাগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য আর বিসিসিআইয়ের স্পনসর হতে পারবে না। সামনেই এশিয়া কাপ, তবুও ভারত সরকার কর্তৃক নয়া নিয়মের বেড়াজালে ড্রিম ১১-কে আগেভাগেই বিদায় নিতে হয়েছে। এক বছরের আগেই চুক্তি শেষ হলেও, সরকারী নিষেধাজ্ঞার কারণে ড্রিম ১১-এর উপর কোনো জরিমানা চাপানো হয়নি। ভারতীয় দলের শেষ স্পন্সর বাইজুসের উপর জরিমানা চাপানো হয়েছিল।
স্পন্সরশিপ দৌড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি BCCI’এর

গত কয়েক বছরে ড্রিম ১১ এবং মাই ১১ সার্কেল যৌথভাবে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। শুধুমাত্র ড্রিম ১১-ই ২০২৩-২০২৬ মেয়াদের জন্য ৩৫৮ কোটির চুক্তি করেছিল। তবে আইনি জটিলতার কারণে সরে দাঁড়াতে হয়েছে এই সংস্থাকে। ড্রিম ইলেভেন যে শুধু ভারতীয় দলের স্পন্সর ছিল এমনটা নয়, বিশ্বের সবথেকে বড় ক্রিকেট লীগ আইপিএলের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল এই সংস্থা। ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের ফলে এখন নতুন স্পনসরের খোঁজে নেমেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তথা BCCI।
Read More: ভাগ্য খুলছে রিঙ্কু সিংয়ের, বিরাট কোহলিকে সরিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ানডে দলে নিচ্ছে এন্ট্রি !!
বিসিসিআই জানিয়েছে, স্পন্সরশিপের দৌড়ে, অনলাইন বেটিং, জুয়া, ক্রিপ্টো, তামাক, অ্যালকোহল বা অন্য কোনো নৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নিতে পারবে না। এছাড়া যেসব খাতে বোর্ডের ইতিমধ্যেই স্পনসর রয়েছে – ব্যাংকিং, ইনসুরেন্স বা অ্যাথলেটিক পোশাক (যেমনটা ‘Adidas’ – বর্তমানে ভারতীয় দলের কিট স্পন্সর) এমন ধরণের কোনো সংস্থার আবেদনও গ্রহণ করা হবে না। সারোগেট ব্র্যান্ডিং বা অন্য প্রতিষ্ঠানের হয়ে ছদ্মবেশে বিড করার চেষ্টাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বিসিসিআই

স্পষ্টভাবে বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, যেসব সংস্থা টাইটেল স্পনসর হতে চাইবে, তাদের গত তিন বছরে গড়ে কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকার বার্ষিক টার্নওভার বা নিট সম্পদ থাকতে হবে। দরপত্রের ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে ৫ লাখ টাকা এবং প্রযোজ্য জিএসটি ফি জমা দিতে হবে। আগ্রহী সংস্থাগুলিকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্রের ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে এবং ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত বিড জমা দিতে হবে। বোর্ড জানিয়েছে, প্রয়োজন পরলে এই পক্রিয়া বাতিল বা পরিবর্তন করা হতে পারে। যদিও, ড্রিম ১১-এর বিদায়ের পর থেকে কে হবে নতুন টাইটেল স্পনসর, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা তুঙ্গে। বিসিসিআইয়ের কড়া শর্ত ও স্বচ্ছ নীতির কারণে এবার স্পনসর বাছাই প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে।