বিসিসিআই আইপিএলের ১৪ তম আসরের গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। ভারত ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের এবার আইপিএলের জন্য নিজেদেরকে কোয়ারান্টাইন করতে হবে না এবং জাতীয় দলের বায়ো-সিকিউর বাবলের থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজির বায়ো-সিকিউর বাবলে প্রবেশ করতে সক্ষম হবেন। বিসিসিআই আরও জানিয়েছে যে, লিগে অংশ নেওয়া ভারতীয় খেলোয়াড়দের কোভিড- ১৯ ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক নয় এবং তাদের সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। আইপিএল ২০২১ শুরু হবে আগামী ৯ এপ্রিল থেকে এবং টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ৩০ মে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হবে।
বিসিসিআই একটি বিবৃতি লিখেছে, “ভারত এবং ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য তৈরি করা বায়ো-সিকিউর থেকে সরাসরি আসা খেলোয়াড়রা কোনও নির্ধারিত মেয়াদ ছাড়াই ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। তবে তাদেরকে ফ্রাঞ্চাইজির টিম হোটেলে টিম বাস বা চার্টার্ড ফ্লাইটে আসতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে হবে। যদি চার্টার্ড ফ্লাইটগুলি ব্যবহার করা হয় তবে ক্রু সদস্যদের সমস্ত প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে। বিসিসিআইয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার যদি ভ্রমণের ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট হন তবে সেই খেলোয়াড়রা ফ্রাঞ্চাইজি দলের বায়ো বাবলে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন।”
মোট ১২ টি বায়ো-সিকিউর তৈরি করা হবে, যার মধ্যে আটটি দল, সাপোর্ট স্টাফ, ম্যাচের কর্মকর্তা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য। দুটি বায়ো সিকিউর বাবল সম্প্রচারকারী ভাষ্যকার ও ক্রুদের জন্য থাকবে। বিসিসিআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের কোনও কর্মকর্তা কোনও খেলোয়াড়, ক্রীড়া কর্মী, ম্যানেজমেন্ট দল বা সম্প্রচারকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করবে না। টিম মালিকরা যারা বায়ো-সিকিউর বাবলে অংশ হতে চান তাদের অবশ্যই হোটেলের ঘরে সাত দিনের কোয়ারান্টাইন মেয়াদ শেষ করতে হবে। বিসিসিআই প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের জন্য চারজন নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করে দেবে, যাদের কাজ হবে বায়ো-সিকিউর পরিবেশের নিয়মগুলি পর্যবেক্ষণ করা।
বিসিসিআই জানিয়েছে যে লিগে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের টিকা দেওয়া হবে না এবং বাকি লোকের মতো তাদের অপেক্ষা করতে হবে। বিসিসিআইয়ের মতে, বল থেকে করোনার প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা কম। বলটি স্ট্যান্ডে বা মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পরে বল স্যানিটাইজ করা হবে এবং তারপরে খেলোয়াড়দের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে। আইপিএল ২০২১ সালে বলের উপর স্পিট করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।