ভারতীয় দলের খারাপ ব্যাটিংয়ের কারণে তারা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে। দলের কাছে এক নম্বর আর দু নম্বর ওয়ানডে ব্যাটসম্যান রয়েছে। দুজনের একসঙ্গে ফ্লপ হওয়ার সঙ্গে এই টুর্নামেন্টে দলের সফরও শেষ হয়ে গিয়েছে। দলের হয়ে দীনেশ কার্তিক, ঋষভ পন্থ আর কেদার জাধবের মত খেলোয়াড় বিশেষ কিছুই যোগদান দেননি।
আইপিএলের প্রদর্শন দিয়ে দল বাছবেন না
আম্বাতি রায়ডূর আইপিএলে খারাপ প্রদর্শনের পর তিনি বিশ্বকাপে জায়গা পাননি। দলের প্রদর্শন আর খেলোয়াড়দের নির্বচন নিয়ে বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সেক্রেটারি সঞ্জয় জগদলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলছেন,
“নির্বাচক কমিটি বিজয় শঙ্কর, আম্বাতি রায়ডু, দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে প্রয়োগ করতে থেকেছে। কার্তিক ২০০৩ থেকে খেলছে যখন আমি নির্বাচক ছিলাম। রায়ডুও সেই সময়ের। আপনি আইপিএলের প্রদর্শনের বিচারে দলকে বাছতে পারেন না। আপনার এমন খেলোয়াড়ের প্রয়োজন যারা উপমহাদেশের বাইরে ভাল প্রদর্শন করেছে”।
রায়ডু-কার্তিকের জন্য দুঃখ নেই
বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়ার পর এবং পরে আহত খেলোয়াড়দের জায়গাতেও সুযোগ না পাওয়ার কারণে আম্বাতি রায়ডু অবসর ঘোষণা করে দেন। দীনেশ কার্তিকও বিশেষ কিছুই করেননি। তা সত্ত্বেও সঞ্জয় জগদলের তার জন্য দুঃখ নেই। তিনি বলেন,
“যখন পন্থকে শুরুতে জায়গা দেওয়া হয়নি তো আমি বাস্তবে অবাক হয়েছিলাম। আমার রায়ডুর জন্য খেদ নেই। রায়ডু, কার্তিকের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ ছিল”।
ভুল খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া হয়েছে
ভারতের হয়ে ভাল প্রদর্শন সত্ত্বেও মনীষ পান্ডে আর শ্রেয়স আইয়ারকে নিজেকে প্রমান করার জন্য বেশি সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার মতে নির্বাচকরা ভুল খেলোয়াড়দের লাগাতার সুযোগ দিয়েছেন। বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সেক্রেটারি বলেন,
“আমার মনীষ পাণ্ডের মত খেলোয়াড়ের জন্য দুঃখ রয়েছে। শ্রেয়স আইয়ারও দুর্ভাগ্যশালী ছিলেন। মনীষ পান্ডে অস্ট্রেলিয়াতে সেঞ্চুরি করেছে। তারপর ওকে বেশি সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমার মনে হয় যে প্রস্তুতি অনেক ভাল হতে পারত। ওরা ভুল খেলোয়াড়দের সুযোগ দিচ্ছিলেন”।