BCCI: ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের মাটিতে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত এবং পাকিস্তান (IND vs PAK)। এই ম্যাচ কে ঘিরেই মূলত তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে বিগত কয়েক মাস ধরেই। জম্মু কাশ্মীরের পেহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার পর দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক যেমন বিগড়ে গিয়েছে তেমনই দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক প্রায় ভাঙার মুখে। কয়েকদিন আগেই লিজেন্ডস ক্রিকেট লিগে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়নি ভারত। গ্রুপ পর্যায় এবং সেমিফাইনালে উভয় বারেই ভারতীয় দল পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে অস্বীকার জানায়। এশিয়া কাপ ২০২৫ নিয়েও বেশ জল্পনা ছিল। এই ম্যাচকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
ভারত-পাক ম্যাচের আগে হলো বড় খোলাসা BCCI’এর

প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর বেশ কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা ও ভক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল, সাথে কেউ কেউ আবার ম্যাচ বয়কটের দাবি তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআই (BCCI) সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে- ভারত সরকারের নীতিমালা মেনেই খেলতে নামবে ভারত। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার নতুন যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে বলা হয়েছে, বহুজাতিক টুর্নামেন্টে ভারতের কোনও দেশকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে। তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারত প্রতিকূল দেশের বিরুদ্ধে খেলবে না।
Read More: IND vs PAK: একই মঞ্চে থাকবে না ভারত-পাক, এশিয়া শুরুর আগেই বয়কটের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের !!
সাইকিয়া এবিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, “বিসিসিআই সেটাই মান্নতা দেবে যেটা কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ভারতের সঙ্গে যেসকল দেশের সম্পর্ক ভালো নয় তাদের মধ্যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে না। তবে, তাদের বিরুদ্ধে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে পারে। তাই এশিয়া কাপ বা আইসিসির মতো প্রতিযোগিতায় ভারতকে মাঠে নামতেই হবে। এমনকি যদি ভারতের সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকা কোনও দেশ জড়িত থাকে, তবুও আমাদের খেলতে হবে।”
কেন্দ্রের নিয়ম মেনেই মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান

সাইকিয়া আরও বলেন, “আমরা ভারত সরকার, যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন বিভাগ কর্তৃক প্রণীত নীতি অনুসরণ করছি। নীতি টি খুব সুন্দর ভাবেই তৈরি করা হয়েছে। শুধু ক্রিকেট নয় বাঁকি ইভেন্ট গুলির জন্যও বেশ উপযোগী।” মাল্টিন্যাশনাল টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা বয়কট করা নিয়ে মন্তব্য করে দেবজিৎ আরও জানিয়েছেন যে এই ধরনের টুর্নামেন্টে বয়কট করলে দেশকেই বড় মাশুল গুনতে হবে। শুধু ক্রিকেট নয়, ফিফা, এএফসি বা অ্যাথলেটিক্সের মতো ইভেন্টেও ভারতীয় ফেডারেশন বা অ্যাথলিটদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “ধরা যাক, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে ব্যান করা হতে পারে, যদি নিরাজ চোপড়ার মতন তারকা যদি কোনো পাকিস্তানি খেলোয়াড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে অংশ নিচ্ছেন বলে প্রত্যাহার করেন। তাহলে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এতে খেলোয়াড়দেরই ক্ষতি হবে।” সাইকিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি নীতি অনুযায়ীই ভারত সেই নীতি মেনেই বহুজাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেবে।