অতীতে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিটনেস পরীক্ষা হত ইয়ো ইয়ো বিপ টেস্টের মাধ্যমে। নয়া স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি আসার পর বদলে গিয়েছে পন্থা। তিনি আস্থা রাখছেন ১৬০০ মিটার দৌড় ও ৪০ মিটার স্প্রিন্টের উপর। আগামী ৩০ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের টি-২০ সিরিজ। এরপর আরব আমিরশাহীর মাঠে এশিয়া কাপের আসরে দেখা যাবে টাইগারবাহিনীকে। জোড়া চ্যালেঞ্জের আগে খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা খতিয়ে দেখতে গত রবিবার ঢাকা’র ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে একটি ফিটনেস পরীক্ষার আয়োজন করেছিলো বিসিবি। অংশ নিয়েছিলেন ২২ তারকা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের পারফর্ম্যান্সে চক্ষু চড়কগাছ ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার কর্মকর্তাদের। দুই সিনিয়র তারকার ফিটনেসের বেহাল দশা চিন্তা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ শিবিরের।
Read More: Top 10: দশজন পাক ক্রিকেটার যাদের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রীদের প্রেমের সম্পর্ক আলোচিত হয়েছিল !!
সেরা নাহিদ, চিন্তা তাস্কিন-মুস্তাফিজুরকে নিয়ে-

ফিটনেস ট্রেনিং-এ নজর কেড়েছেন বাংলাদেশের তরুণ ফাস্ট বোলার নাহিদ রাণা (Nahid Rana)। মাত্র ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে ১৬০০ মিটার দৌড় সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। দুইটি ব্যাচে ভাগ করে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিলো ক্রিকেটারদের। প্রথম ব্যাচে ছিলেন সাত জন। আর দ্বিতীয় ব্যাচে ছিলেন ১৫ ক্রিকেটার। প্রথম ব্যাচে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছেন অলরাউন্ডার মেহদী হাসান মিরাজ (Mehidy Hasan Miraz)। ৬ মিনিট ১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেছেন তিনি। টি-২০ ও ওয়ান ডে থেকে ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম (Mushfiqur Rahim)। ফিটনেসের দিক থেকে তিনি যে এখনও পাল্লা দিতে পারেন তরুণ সতীর্থদের সাথে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বহু যুদ্ধের ঘোড়া। ১৬০০ মিটার দৌড় তিনি শেষ করেছেন ৬ মিনিট ১০ সেকেন্ডে। প্রথম ব্যাচে তিনিই ছিলেন তৃতীয় স্থানে।
দ্বিতীয় ব্যাচের ক্রিকেটারদের মধ্যে নজর কেড়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব (Tanzim Hasan Sakib) । ৫ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেছেন তিনি। শাহদাত হোসেন দীপু ৬ মিনিট ও পারভেজ হোসেন ইমন ৬ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে ১৬০০ মিটার সম্পূর্ণ করে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন। তবে চূড়ান্ত হতাশ করেছেন দুই অভিজ্ঞ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান (Mustafizur Rahman) ও তাস্কিন আহমেদ (Taskin Ahmed)। ১৬০০ মিটার দৌড়তে প্রায় আট মিনিট সময় লেগেছে দু’জনেরই। শামিম পাটোয়ারি ও তনবীর ইসলামের পারফর্ম্যান্সও আশানুরূপ ছিলো না গতকাল, সংবাদসংস্থা ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য জানিয়েছেন, “(নাহিদ) রাণা দুর্দান্ত। আরও বেশ কয়েকজন ভালো করেছেন। কিন্তু একইসাথে দু’জন ক্রিকেটার আমাদের প্রত্যাশা পুরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।”
ফিটনেস টেস্টে নেই লিটন দাস-

নাজমুল হোসেন শান্ত পদত্যাগ করার পর টি-২০তে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন লিটন কুমার দাস (Litton Kumer Das)। সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন নেদারল্যান্ড সিরিজ ও সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন টাইগারদের। তবে রবিবারের ফিটনেস পরীক্ষায় অংশ নেন নি তিনি। ২৫ জন’কে নিয়ে প্রাথমিক অনুশীলন শিবির আয়োজন করেছে বিসিবি। তার মধ্যে লিটন দাস, তৌহিদ হৃদয়-সহ মোট ৬ জনকে ছাড়াই হয়েছে ফিটনেস পরীক্ষা। বাংলাদেশ-এ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ায় নুরুল হাসান সোহান, সইফ হাসান, আফিফ হোসেন ও মহীদুল ইসলাম অঙ্কনের পক্ষেও ফিটনেস টেস্টে অংশ নেওয়া সম্ভব হয় নি। ঢাকায় ফিটনেস অনুশীলন ক্যাম্প শেষে ক্রিকেটাররা যাবেল সিলেটে। সেখানে ২০ অগস্ট থেকে রয়েছে স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেনিং ক্যাম্প।