এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) মঞ্চে আজ মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা। দুই দলের মধ্যে একটি গভীর ইতিহাস রয়েছে। এর আগে একাধিকবার দুই দলকে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা গিয়েছিল। ম্যাচ চলাকালীন দুই দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যেই বিভিন্ন সংঘাত দেখা দিয়েছে বহুবার। তবে এবারের এশিয়া কাপের মঞ্চে শ্রীলঙ্কা দল নিজেদের প্রমাণ করে দেখালো তারা কেন এশিয়ার দ্বিতীয় শক্তিশালী দল। বাঁকি প্রতিটি দল একটি করে ম্যাচ খেললেও শ্রীলংকা আজ তাদের প্রথম ম্যাচটি খেলেছে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার মধ্যে খেলা বিষয়ক সম্পর্ক খুব একটা ভালো কাটেনি। নাগিন ডান্স থেকে শুরু করে মাথিউজের টাইম আউটের মধ্যে নিয়ে নানান পর্যায়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে মতবিরোধ দেখা গিয়েছে। এবার আজ আবুধাবিতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা। গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক চরিত আশালঙ্কা (Charit Ashalanka)।
প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে রীতি মতন ব্যাক ফুটে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। শ্রীলঙ্কান বোলিং আক্রমণের সামনে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের রীতিমতন চাপের মুখোমুখি হতে দেখা গিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ওমানের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে সম্পূর্ণরূপে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়া প্রমাণ দেয় শ্রীলঙ্কা দলের ঐতিহ্যকে। গতবার এই দুবাইয়ের মাটিতেই এশিয়া কাপ জিতেছিল শ্রীলংকা। এমনকি ২০২৩ সালের ওডিআই ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপে ফাইনালিস্ট ছিল তারাই। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের ম্যাচটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বাধিক স্কোরটি এসেছিল শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে। তিনি, ৩৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তাছাড়া, জাকিরের ব্যাট থেকে ৩৪ বলে ২টি চারের বিনিময়ে ৪১ রান এসেছিল। বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল।
Read Also: Asia Cup 2025 IND vs PAK: বাদ পড়ছেন শিবম দুবে, পাক চ্যালেঞ্জ সামলাতে বোলিং-এ জোর টিম ইন্ডিয়ার !!
রুদ্ধশ্বাস জয় পেল শ্রীলঙ্কা

যার ব্যাটিং করতে এসে দুরন্ত ব্যাটিংয়ে নমুনা দেখিয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। শুরুতে অবশ্য উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস (Kusal Mendis) ৬ বলে ৩ রান বানিয়েছিলেন। তাছাড়া, ব্যাট হাতে অনবদ্য একটি ইনিংস এসেছিল পথুম নিশঙ্কার (Pathum Nishanka) ব্যাট থেকে। তাঁর ব্যাট থেকে ৩৪ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫০ রানের একটি ইনিংস এসেছিল। তাছাড়া, ৩২ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪২ রান বানান কামিল মিশারা। ৯ বলে ৯ রান বানিয়ে আউট হয়ে হয়েছিলেন কুশল প্যারেরা। শেষের দিকে ৪ বলে ১০ রান বানিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন ক্যাপ্টেন আশালঙ্কা। ১৪.৪ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা।