আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)। তামিমের এই সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর কারণ তিন মাস পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে চলেছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পরাজয়ের পর এই সিদ্ধান্ত নেন তামিম। সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ আবেগপ্রবণ ছিলেন তামিম। সেখানই তিনি তার ১৬ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ার শেষ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
অবসর প্রসঙ্গে কী বলেন তামিম?
তামিম বলেন, “এটাই আমার জন্য শেষ। আমি আমার সেরাটা দিয়েছি। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। এই মুহুর্তে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। আমি আমার সমস্ত সতীর্থ, কোচ, বিসিবি কর্মকর্তা, আমার পরিবারের সদস্য এবং যারা আমার দীর্ঘ যাত্রায় আমার সাথে ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমার উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। আমি ভক্তদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসা এবং বিশ্বাস আমাকে বাংলাদেশের জন্য সেরাটা দিতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি আমার জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য সবার দোয়া চাই। দয়া করে আপনার প্রার্থনায় আমাকে রাখুন।”
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ
ওয়ানডেতে এখনও নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান এবং টেস্টে লিটন দাস। গত বছর টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী তামিম। এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্টের সিরিজে খেলেছিলেন। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওডিআই অভিষেকের মাধ্যমে তামিমের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের আইকনিক জয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। তিনি তার দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে রান (৮৩১৩) এবং সেঞ্চুরি (১৪) করা ব্যাটসম্যান।
তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে
৭০টি টেস্টে দশটি সেঞ্চুরি সহ ৫১৩৪ রান করেছেন তামিম। এই সময়ে তার গড় ছিল ৩৮.৮৯। তামিম অধিনায়ক হিসেবে ৩৭টি ওয়ানডের মধ্যে ২১টি জিতেছেন এবং ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশকে তৃতীয় স্থানে নিয়ে গেছেন। এর ফলে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছে। তিনি ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়কত্বও করেছিলেন।