টি-২০ সিরিজ ৩-২ ফলাফলে জেতার পর ভারতীয় দল ওয়ানডে সিরিজও ২-১ ফলাফলে জিতে নিয়েছে। এই দুটি সিরিজের আগে ভারতীয় দল টেস্ট সিরিজও জিতেছিল। সত্যি বলতে গেলে ভারত সফরে আসার পর ইংল্যান্ডের দল এই তিনটি সিরিযে কেবলমাত্র টসই জিততে পেরেহচে। অন্যদিকে টস হারার পরও ভারতীয় দল প্রত্যেকটি বিভাগে ইংল্যাণ্ডকে মাত দিয়েছে। তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৩২৯ রান করেছিল জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস মাত্র ৩২২ রানেই শেষ হয়ে যায়। যার ফলে ভারত ৭ রানে ম্যাচ জেতার পাশাপাশি সিরিজও জিতে নেয়।
জনি ব্যারেস্টোকে নির্বাচিত করা হয় ম্যান অফ দ্য সিরিজ
এই ওয়ানডে সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করা জনি ব্যারেস্টোকে ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত করা হয়েছি। তিনি এই পুরস্কার নেওয়ার সময় বলেন, আমি যেভাবে সিরিজে শট খেলেছি তাতে যথেষ্ট খুশি। কিন্তু আমরা সিরিজ জিততে চেয়েছিলাম, আমি টেস্টে বেশি স্কোর করিনি, কিন্তু সাদা বলে প্রত্যাবর্তন করা আর আইপিএলের আগে আত্মবিশ্বাস হাসিল করতে চেয়েছিলাম। আমরা ভুবনেশ্বরের কৌশলকে জানি। ও একজন দুর্দান্ত বোলার। ওর বলের মুখোমুখি হওয়া সত্যিই মুশকিলের হয়। আমি সানরাইজার্সের হয়ে খেলার সময় ওর সঙ্গে যথেষ্ট কথাবার্তা বলেছিলাম। এখন ওর বিরুদ্ধে আইপিএলে নেটে ব্যাটিং করব। স্যাম ক্যুরেন একটি বিশেষ ইনিংস খেলেছে। আমরা ওর গুণাগুন আর প্রতিভাকে জানি। আমাএর বিশ্বাস ছিল যে ও আমাদের জয়ের রেখা পার করিয়ে এবে। কিন্তু নট্টুকে (নটরাজন)শুভেচ্ছা আর ও ডেথ ওভারে ইয়র্কারকে অসাধারণভাবে ডেলিভার করেছে। তবে স্যাম ভীষণই ভালো ছিল”।
ইংল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে তিন সিরিজেই জয়
ইংল্যান্ডের দল যখন ভারত এসেছিল তখন তাকে সিরিজ জয়ের প্রবল দাবীদার মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ভারতীয় ছেলেরা তাএর খেলার প্রত্যেকটি বিভাগে পেছনে ফেলে টেস্ট, টি-২০ আর ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে। পরিসংখ্যানের কথা বলা হলে ভারত টেস্টে ৩-১, টি-২০তে ৩-২ আর ওয়ানডেতে ২-১ ফলাফলে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে।তবে টি-২০ আর ওয়ানডে সিরিজ অদ্ভত ঘটনা ঘটেছে যে অধিনায়ক কোহলি পরপর ৬বার আর মোট ৭বার টস হেরেছেন। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে কোহলিকে নিয়ে ঠাট্টাও হচ্ছে।